বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের দিন শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর)। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে (আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ) তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মানবজাতির মুক্তির পথ দেখিয়ে ৬৩ বছর বয়সে একই তারিখে তিনি পৃথিবী ত্যাগ করেন।
আরব দুনিয়া যখন জাহেলিয়াত বা অন্ধকারে ডুবে ছিল, তখন আলোকবর্তিকা হিসেবে জন্ম নেন আল্লাহর রাসুল (সা.)। মক্কার কুরাইশ গোত্রের সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করা তিনি অল্প বয়সেই সততা ও সত্যবাদিতার প্রতীক হয়ে ওঠেন। ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করে ২৩ বছর ইসলামের বার্তা প্রচার করেন। শুধু আধ্যাত্মিক শিক্ষা নয়, মদিনায় কল্যাণরাষ্ট্রও প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও সিরাতুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন। নফল নামাজ আদায়, রোজা রাখা, কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
শনিবার সকাল থেকে সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। রাজধানীর প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো জাতীয় পতাকা ও কালিমা তাইয়্যেবা লেখা ব্যানার দিয়ে সাজানো হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কিরাত ও নাত প্রতিযোগিতা, কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক আসর, আরবি খুতবা রচনা প্রতিযোগিতা, সেমিনার এবং বিশেষ স্মারক প্রকাশ। ১২ রবিউল আউয়াল থেকে বায়তুল মোকাররমে দুই সপ্তাহব্যাপী ইসলামি বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে, আর পত্রপত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় সংগঠন, ওয়াকফ প্রশাসক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও হজ অফিস আলোচনা সভা, দোয়া-মিলাদ মাহফিল, নাত পাঠ এবং কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে। শিশুদের জন্য বাংলাদেশ শিশু একাডেমি নাত পাঠ, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
দেশের সামরিক ও বেসামরিক হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা, শিশু নিবাস ও বৃদ্ধাশ্রমে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিনটি পালন করবে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে মহানবী (স.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমার প্রতিফলন ঘটাতে পারি।” দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0