জেলা প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরের ৪ হাজার ৬৪১টি পুকুরের মধ্যে ২ হাজার ৩৯০টি পুকুর ইতোমধ্যে ভরাট হয়ে গেছে। স্থানীয় ভূমিদস্যু এবং প্রশাসনের নীরবতার কারণে শহরের ঐতিহ্যবাহী এসব পুকুর বর্তমানে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক মানববন্ধনে পরিবেশবিদরা পুকুর ভরাটের কারণে চট্টগ্রামের পরিবেশ বিপর্যস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেন।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে শত শত পাহাড় কেটে, নালা-নদী ভরাট করে চট্টগ্রামকে কংক্রিটের শহরে পরিণত করা হয়েছে। চট্টগ্রামে নতুন করে মোহরা সেলিমের পিতার বাড়ির জনগণের ব্যবহৃত পুকুরটিও রাতদিন ভরাট হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই। এভাবে চলতে থাকলে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে।
এতে বাপসার কেন্দ্রীয় সভাপতি এম এ হাশেম রাজু সভাপতির বক্তব্যে বলেন, স্থানীয় ভূমিদস্যু, প্রশাসন ও মাফিয়া গোষ্ঠী রাতের অন্ধকারে প্রতিনিয়ত পুকুর ভরাট করছে। অনতিবিলম্বে পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। সারা চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী, হালদা নদীসহ শহরের অধিকাংশ পুকুর, জলাশয়, গাছপালা সুরক্ষিত রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (সিডিএফ) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমদা বলেন, পুকুর ভরাট, নদী-নালা দখল ও দূষণের কারণে আজকাল মায়ের গর্ভে থাকা শিশুও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জন্ম নিচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘুষখোর প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘোষণা করবে।
এ ছাড়া বাপসার কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও চেম্বার অব কমার্সের সদস্য মাহবুবুর রহমান রানা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সচিব অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, আইএইচআরসি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক, পরিবেশ কর্মী জান্নাতুল নাঈয়ুম রিকু, মানবাধিকার কর্মী এস এম ফরিদ, বাপসার কেন্দ্রীয় সদস্য ও পটিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা জলি, সিডিএফের সহ সভাপতি এস এম ইমরান, নগর পরিবেশ সম্পাদক সাইফুল আলম খানসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
বাংলাফ্লো/এসকে
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0