Logo

রোববার সকাল থেকে ধর্মঘটে যাচ্ছে পেট্রোল পাম্প

৬ ঘণ্টা ধর্মঘটের কথা গনমধ্যামকে নিশ্চিত করেছেন পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রতন। তিনি বলেছেন, এরপরও যদি দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ৭ পার্সেন্ট করাসহ ৭ দফা দাবিতে ধর্মঘটে যাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরী মালিক ঐক্য পরিষদ।

রোববার (২৫ মে) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পেট্রোল পাম্প বন্ধ, একইসঙ্গে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

৬ ঘণ্টা ধর্মঘটের কথা গনমধ্যামকে নিশ্চিত করেছেন পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রতন। তিনি বলেছেন, এরপরও যদি দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।

কমিশন বৃদ্ধিসহ ৭ দফার দাবির মধ্যে রয়েছে, সওজ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের ন্যায় বহাল করা, পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের সময় পে-অর্ডারকে নবায়ন বলিয়া গণ্যকরা, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা, পেট্রোল পাম্পের ক্ষেত্রে পরিবেশ, বিইআরসি, কলকারখানা পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল, বিপনন কোম্পানি থেকে ডিলারশীপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রয় বন্ধ, ট্যাংকলরী চালকদের লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স বাধা বিপত্তি ছাড়া ইস্যু, সকল ট্যাংকলরীর জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করা, বিভিন্ন স্থানে অননুমোদিত এবং অবৈধভাবে ঘরের মধ্যে, খোলা স্থানে যত্রতত্র মেশিন দিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের দাবি।

পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সঙ্গে অনেকগুলো দাবি মিলে যাওয়ায় সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও কনভার্সন ওয়ার্কসপ ওনার্স এসোসিয়েশন নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। তবে সংগঠনটি ধর্মঘটে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংগঠনটির মহাসচিব ফারহান নূর। তিনি বলেছেন, ধর্মঘটে যেতে হলে আল্টিমেটাম দিতে হবে। আমরা কোন হঠকারি সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি না। তবে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে তৎকালীন জ্বালানি উপদেষ্টা সিএনজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে কমিশন ২.৯৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয়। এরপর মাত্র ১ টাকা বাড়ানো হয়, এতোদিন পার হয়ে গেলেও পরে আর ১.৯৮ টাকা বাড়ানো হয় নি। এরপর কয়েক দফায় বিদ্যুতের বিল বাড়ানোর কারণে আমাদের খরচ বেড়েছে কিন্তু কমিশন আর সমন্বয় করা হয় নি। এতে করে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া কষ্টকর হচ্ছে। অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। ধর্মঘটে যাওয়ার জন্য মালিকদের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে।

বাংলাফ্লো/এসও

Related Posts বাংলাদেশ

Leave a Comment

Comments 0