বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের আগে স্কুলের ক্যান্টিনে অপেক্ষা করছিল বড় বোন জাহারা, ক্লাস ছুটি হলেই ছোট বোন আলবীরাসহ দুই বোন একসঙ্গে খাবে। খাবার খাওয়ার জন্যে বড় বোনের অপেক্ষার কোন এক মুহূর্তেই বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আলবীরা। এতে ছোট বোন আলবীরা পুড়লেও খাবারের জন্য অপেক্ষা করায় বেঁচে যায় জাহারা। না হলে হয়ত জাহারাকেও পুড়তে হতো।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউডে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন কক্সবাজার থেকে দেখতে আসা তাদের জেঠাতো বোনের জামাই আব্দুল মাজেদ।
ড্রেসিং করানো হচ্ছে জানিয়ে জানান আব্দুল মাজেদ বলেন, আলবীরার অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা ভালো। তিনি আরও বলেন, আলবীরারা তিন ভাই দুই বোন। দুই বোনের মধ্যে আলবীরা ছোট। তারা দুই ভাই ও দুই বোন সবাই মাইলসস্টোনে পড়ে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার দিন মাসহ দুইভাই কক্সবাজার থাকায় সেদিন তারা দুই বোন স্কুলে যায়। দুপুর ১২টার দিকে আলবীরার মা ও দুই ভাই কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরেন। তার কিছুক্ষণ পরেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিনের মেয়ে রুবাইদা নূর আলবীরা (১০)। সেদিনের বিমান দুর্ঘটনায় তখন আলবীরা বুদ্ধি করে সিনিয়র ভাইকে বলেছিল ভাইয়া আমাকে একটু ধরো।
তখন সে আলবীরাকে নিয়ে বের হয়ে উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে কোথাও চিকিৎসা না পেয়ে সরাসরি অ্যাম্বুলেন্সে করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। পরে পিতা-মাতা ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে শনাক্ত করে।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0