জেলা প্রতিনিধি
নীলফামারী: নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের আন্দোলন গতকাল মঙ্গলবার সহিংস রূপ ধারণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যৌথবাহিনী মাঠে নামলে শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে হাবিবুর রহমান হাবিব নামের এক শ্রমিক নিহত হন এবং অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনার পর আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইপিজেডের সব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান আশরাফুল ইসলাম জানান, গতকালই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, বিকেলে একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে আগামীকাল থেকে কারখানাগুলো চালু হবে কি না।
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে ইপিজেড পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছেন। এক দোকানদার জানান, ইপিজেড বন্ধ থাকায় তার বেচাকেনা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, যা তার জীবিকা নির্বাহের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।
এদিকে, শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কোনো হয়রানিমূলক মামলা না করার দাবি জানিয়েছে এবং গুলির নির্দেশদাতাকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া, তারা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে একজন শ্রমিক নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হন। ২৩ দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে এভারগ্রীন কোম্পানির শ্রমিকরা যে আন্দোলন শুরু করেছিল, তা ধীরে ধীরে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0