স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: ম্যাচ-পরবর্তী উত্তেজনার ঘটনায় ইন্টার মায়ামির সঙ্গে থাকা লিওনেল মেসির দেহরক্ষী ইয়াসিন চুকোকে টুর্নামেন্টের বাকি সময় পর্যন্ত সব ধরনের ‘টেকনিক্যাল এরিয়া’ থেকে নিষিদ্ধ করেছে লিগস কাপ আয়োজক কমিটি। পাশাপাশি ইন্টার মায়ামি ক্লাবকেও একটি অপ্রকাশিত অঙ্কের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।
গত ৩০ জুলাই, মায়ামি ও মেক্সিকোর ক্লাব অ্যাটলাসের মধ্যকার ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হালকা বাকবিতণ্ডা চলছিল। সে সময় চুকো, যিনি কালো মায়ামি টি-শার্ট পরা অবস্থায় ছিলেন, মাঠে ঢুকে পড়েন এবং অ্যাটলাসের কয়েকজন খেলোয়াড়কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। অথচ তার কাছে ওই ম্যাচের জন্য কোনো অফিসিয়াল অ্যাক্রেডিটেশন ছিল না।
লিগস কাপ কর্তৃপক্ষ তাদের বিবৃতিতে জানায়, ‘ইন্টার মায়ামি বনাম ক্লাব অ্যাটলাস ম্যাচ শেষে, ক্লাবের একজন প্রতিনিধি (মেসির দেহরক্ষী) নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্ধারিত এলাকা লঙ্ঘন করেছেন। ফলে, তাকে লিগস কাপ ২০২৫-এর বাকি সময়ের জন্য সব টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ইন্টার মায়ামি ক্লাবকে আর্থিক জরিমানা দেওয়া হয়েছে। ’
ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অ্যাটলাসের ডিফেন্ডার ম্যাথেউস ডোরিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আমাদের ক্লাব প্রশাসন বিষয়টি দেখবে। আমি বুঝি, মেসির দেহরক্ষী মাঠে থাকেন যদি কোনো ভক্ত হঠাৎ ঢুকে পড়ে—সেটি ঠেকানোর জন্য। কিন্তু খেলোয়াড়দের মধ্যে যা হচ্ছে, তাতে তার কোনো অধিকার থাকার কথা না। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘খেলোয়াড়দের শারীরিক নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপার থাকলে সেটা গ্রহণযোগ্য। কিন্তু অন্য কোনো কারণে কেউ মাঠে ঢুকে হস্তক্ষেপ করলে সেটা কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। ’
ইয়াসিন চুকো মূলত মেসির নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে আছেন তার পিএসজি-পরবর্তী সময় থেকেই। আগেও বেশ কয়েকবার তাকে ম্যাচ চলাকালে পিচ ইনভেডারদের থামাতে দেখা গেছে। তবে তার পেশাগত পরিচয় নিয়ে আগে যেসব দাবি (যেমন: সাবেক নেভি সিল বা এমএমএ ফাইটার) করা হয়েছিল, সেগুলো সঠিক নয়।
এর আগেই, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কর্তৃপক্ষ চুকোকে সাইডলাইনে অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এরপরও ইন্টার মায়ামি ক্লাব তাকে নিয়োজিত রেখেছে।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0