বাংলাফ্লো ডেস্ক
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার। কম্পন প্রতিবেশী দেশগুলোতেও অনুভূত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে মধ্য মিয়ানমারে আঘাত হানা এ দুটি ভূমিকম্পে ইয়াঙ্গুন এবং প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভয়ে বাসিন্দারা উঁচু ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ছাদের পুল থেকে পানি গড়িয়ে নিচে পড়েছে।
থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইমার্জেন্সি মেডিসিন জানায়, ব্যাংককের চাতুচাক এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানে ৪৩ জন নির্মাণশ্রমিক আটকা পড়েছেন। ব্যাংককে কিছু মেট্রো পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূঅভ্যন্তরের ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরে এ ভূমিকম্পের উৎপত্তি। প্রথমবার আঘাত হানার কিছু সময় পর আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, মিয়ানমারে ভূমিকম্পের তীব্রতায় রাস্তাঘাট ফাটল দেখা গেছে এবং ভবনের টুকরো খসে পড়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পে মিয়ানমারের ইরাবতী নদীতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। ৯১ বছরের পুরোনো এই সেতু সাগাইং সেতু নামেও পরিচিত।
মিয়ানমারের ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করার জন্য ইয়াঙ্গুনে অনুসন্ধান শুরু করেছি এবং ঘুরে দেখছি। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।‘
ভূমিকম্পে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বা প্রাণহানি কতটা হয়েছে তা সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের মাত্রা
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) অনুসারে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। অন্যান্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৯ এবং ৭.৩।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার।
অনুভূত অঞ্চল
ভূমিকম্পের কম্পন মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক এবং বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানেও অনুভূত হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতি
প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাফ্লো/এসবি
Comments 0