আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: কাতারে হামাসকে লক্ষ্য করে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের হামলার পর দোহায় সোমবার শুরু হতে যাওয়া আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলন দেশটির প্রতি সমর্থনের বার্তা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ বৈঠকে আরব লীগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশ নিচ্ছেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে সম্মেলনের জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়। এতে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে “অস্থিতিশীলতার উস্কানি” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, আরব ও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের “অঞ্চলে নতুন বাস্তবতা চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার” বিরোধিতা করছে। তবে খসড়া প্রস্তাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইত সৌদি দৈনিক আশারক আল-আওসাতকে বলেন, “এই সমাবেশ একটি বার্তা দিচ্ছে যে, কাতার একা নয় … আরব ও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলো তার পাশে আছে।”
৯ সেপ্টেম্বরের হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক নিন্দার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারের ওপর চাপ বাড়িয়ে বলেন, দোহায় অবস্থানরত হামাস নেতাদের হয় বহিষ্কার করতে হবে নয়তো বিচারের মুখোমুখি করতে হবে, “কারণ যদি আপনারা না করেন, আমরা করব।”
কাতার পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেছে, ইসরায়েল শান্তি প্রচেষ্টা নস্যাৎ করছে এবং নেতানিয়াহু “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ” চালাচ্ছেন। হামলায় কাতারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর প্রতিক্রিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের এই হামলায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি কাতারকে “শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা ঘনিষ্ঠ মিত্র” উল্লেখ করে হামাস নির্মূল করা “যোগ্য লক্ষ্য” বললেও কাতারি আমিরকে আশ্বস্ত করেছেন যে, এ ধরনের হামলা আর ঘটতে দেওয়া হবে না।
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা প্রথম উপসাগরীয় রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) শুক্রবার তেল আবিবের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে তলব করে নেতানিয়াহুর মন্তব্যকে “শত্রুতাপূর্ণ” আখ্যায়িত করেছে। ইউএই জানিয়েছে, কাতারের স্থিতিশীলতা উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সব রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে “অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত।”
গাজা পরিস্থিতির
গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এই অভিযান শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর, যাতে ইসরায়েলের হিসাবে ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এখনও ৪৮ জন জিম্মি রয়েছে বলে জানায় ইসরায়েল। বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে কাতার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0