বাংলাফ্লো ডেস্ক
ঢাকা: শুক্রবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারে সৃষ্ট সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে থাইল্যান্ড, চীনসহ আশপাশের দেশগুলোতেও অনুভূত হয়েছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ডে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে।
দেশটিতে ওই ভূমিকম্পের কারণে একটি বহুতল ভবন ধসে সাতজন নিহত হয়েছে। ব্যাংককের ধসে পড়া ওই ভবনে এখনও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংককে প্রায় ১০০ জন নির্মাণশ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গতকাল রাতে ব্যাংককের অন্তত দু'টি ভবন খালি করা হয়েছে এবং ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের জন্য আজ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা আরও দুই হাজার ভবন পরিদর্শন করবেন।
ব্যাংককে বসবাসরত বিবিসি সংবাদদাতা বুই থ্যু বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজডে অনুষ্ঠানে জানান যে এক দশকের মধ্যে ব্যাংককে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি।
থাইল্যান্ডের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে মিয়ানমারে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
ইউএসজিএস-এর বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ১৯৩০ এবং ১৯৫৬ সালের মাঝে সাগাইং ফল্টের কাছাকাছি সাত মাত্রার ছয়টি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিলো মিয়ানমারে।
অপরদিকে, থাইল্যান্ড মোটেই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল নয়। সেখানে যে ভূমিকম্পগুলো অনুভূত হয়, সেগুলোর বেশিরভাগই ঘটে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে।
এই কারণেই ব্যাংককের ভবনগুলো শক্তিশালী ভূমিকম্প প্রতিরোধী হিসাবে নির্মিত নয়।
তাই, বড় কোনও ভূমিকম্প হলে সেখানে ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
।। বিবিসি।।
বাংলাফ্লো/এসবি
Comments 0