স্পোর্টস ডেস্ক: ক্লাবগুলোর আয়ের বড় একটি অংশ আসে টিকিট বিক্রি থেকে। সেখানেও অন্য ক্লাবগুলোর চেয়ে বেশ এগিয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। গত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে দলটি।
সম্প্রতি ইউয়েফা ইউরোপীয় ক্লাব ফাইন্যান্স এবং ইনভেস্টমেন্ট ল্যান্ডস্কেপ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, টিকিট বিক্রি করে রিয়াল ২০২৩/২৪ মৌসুমে আয় করেছে ১৫৩ মিলিয়ন পাউন্ড। দুইয়ে থাকা পিএসজির আয় ১৩৯ মিলিয়ন পাউন্ড। ১২৭ মিলিয়ন পাউন্ড আয় নিয়ে আর্সেনাল আছে টিকেট বিক্রিতে ইউরোপের শীর্ষ তিনে। ৯৬ মিলিয়ন পাউন্ড আয়ে বার্সেলোনার অবস্থান সাত নম্বরে।
ক্যাম্প ন্যুর সংস্কার চলায় বার্সেলোনা খেলছে এস্তাদিও অলম্পিকে। যার প্রভাব পড়েছে তাদের টিকিট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয়ে।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রতি ম্যাচে টিকিট বিক্রি করে গেল মৌসুমে রিয়াল আয় করেছে ৬.১ মিলিয়ন পাউন্ড। গড়ে সমর্থকদের একটি ম্যাচ দেখতে খরচ করতে হয়েছে কমপক্ষে ৮৪ পাউন্ড।
দুইয়ে থাকা পিএসজির ঘরের মাঠে প্রতি ম্যাচ থেকে আয় ছয় মিলিয়িন আর তিনে থাকা আর্সেনালের আয় পাঁচ মিলিয়ন পাউন্ড।
খরচের ক্ষেত্রেও সবার ওপরেই অবস্থান রিয়ালের। ফুটবলারদের বেতন ছাড়া ক্লাবের কর্মকর্তাসহ নানা সব খাতে গেল বছর রিয়াল খরচ করেছে ৩৬১ মিলিয়ন পাউন্ড। যেখানে দুই নম্বরে আছে টটেনহাম হটস্পার। ইংলিশ ক্লাবটির বছরে ক্লাব পরিচালনা বাবদ খরচ করতে হয়েছে ২২২ মিলিয়ন পাউন্ড, তিন নম্বরে আছে বার্সেলোনা।
তাদের খরচ ২১৯ মিলিয়ন পাউন্ড। বার্সেলোনার খরচ বাড়ার একটা বড় কারণ হিসেবে ধরা হয়, অন্য ক্লাবের তুলনায় তাদের কর্মী সংখ্যা বেশি। সব মিলিয়ে বার্সেলোনার কর্মী সংখ্যা এক হাজার ৭৮১ জন। দুইয়ে থাকা বায়ার্নের সেই সংখ্যা এক হাজার ৩৪৭। এই তালিকার তিন নম্বরের নাম চমক জাগানিয়াই। রাশিয়ান ক্লাব জেনিথ। যাদের ক্লাব পরিচালনায় কর্মী সংখ্যা এক হাজার ৩০২। যেখানে কিছুটা পিছিয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ, তাদের কর্মী সংখ্যা চতুর্থ সর্বোচ্চ এক হাজার ১৬৩ জন।
তবে টিকিট বিক্রিতে রিয়াল এগিয়ে থাকলেও সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রিতে লিগ হিসেবে এগিয়ে প্রিমিয়ার লিগ। গেল মৌসুমে টিকিট বিক্রি করে প্রিমিয়ার লিগের আয় ৮৩০ মিলিয়ন পাউন্ড। যেখানে লা লিগার আয় ৪৮১ মিলিয়ন পাউন্ড আর বুন্দেসলিগার ৪৩০ মিলিয়ন পাউন্ড।
জেবি