বাংলাফ্লো ডেস্ক
ঢাকা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির অগ্রদূত ওপেনএআই সম্প্রতি তাদের চ্যাটজিপিটি প্ল্যাটফর্মে এক নতুন ওয়েব সার্চ আপডেট চালু করেছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য অনলাইন শপিংকে আরও কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য করে তুলবে। নতুন এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা পছন্দের পণ্যের বিস্তারিত জানতে পারবেন—যেমন: পণ্যের ছবি, রিভিউ, মূল্য তালিকা ও সরাসরি ক্রয়ের লিঙ্ক। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই ফলাফলগুলোতে কোনো ধরণের বিজ্ঞাপন থাকবে না এবং ওপেনএআই কোনো কমিশন নেবে না, যা এই সার্ভিসটিকে অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের তুলনায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার দিক থেকে অনেক এগিয়ে রাখবে।
সুবিধাগুলোর মধ্যে যা থাকছে:
ব্যবহারকারীর করা প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে তাদের রুচি ও প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক পণ্য সাজেশন দেওয়া হবে।
পণ্যের তথ্য ও রিভিউ সংগ্রহ করা হবে বিভিন্ন তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত স্ট্রাকচার্ড মেটাডেটার ভিত্তিতে।
শুধু পণ্যের নাম বা লিংক নয়, ব্যবহারকারী পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ভিজ্যুয়াল ও ব্যবহারকারীদের মতামতও জানতে পারবেন।
ব্যবহারকারীদের কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে হবে না বা ক্লিকের পর অন্য পেইজে পাঠিয়ে দেওয়া হবে না, বরং তারা সরাসরি চ্যাটজিপিটির ভেতর থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
কারা ব্যবহার করতে পারবেন?
নতুন আপডেটটি GPT-4o মডেলে যুক্ত করা হয়েছে এবং এটি উন্মুক্ত থাকবে সব স্তরের ব্যবহারকারীদের জন্য—প্রো, প্লাস এবং ফ্রি সাবস্ক্রিপশনধারী এমনকি যারা অ্যাকাউন্টে লগইন না করেই চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছেন, তারাও এই ফিচার উপভোগ করতে পারবেন।
ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপটিকে অনেকেই গুগলের সার্চ মার্কেটের প্রভাব কমানোর কৌশল হিসেবে দেখছেন। বর্তমানে গুগল তার সার্চ ফলাফলে বিজ্ঞাপনকে অগ্রাধিকার দেয়, যা অনেক সময় ব্যবহারকারীর জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে। এর বিপরীতে ওপেনএআই বলছে, তারা ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা দিতে চায়, যেখানে সিদ্ধান্ত হবে নিরপেক্ষ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।
২০২৪ সালে চালু হওয়ার পর থেকে চ্যাটজিপিটির সার্চ ফিচারটি বিশ্বব্যাপী বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মতে, কেবল গত সপ্তাহেই চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে ১ বিলিয়নেরও বেশি ওয়েব সার্চ হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে তাদের সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০০ মিলিয়নের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এই আপডেটের মাধ্যমে ওপেনএআই ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনে এআই-ভিত্তিক সহায়তা আরও জোরদার করতে চায়, বিশেষ করে অনলাইন শপিংয়ের মতো জটিল এবং সিদ্ধান্তভিত্তিক কাজগুলোতে।
সুত্র:রয়টার্স
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0