সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আলাউইত সম্প্রদায়ের ৭৪৫ জন নিহত

সিরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত আলাউইত সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ নিহত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত আলাউইত সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। দেশটিতে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা শনিবার (৮ মার্চ) জানিয়েছে যে, নিরাপত্তা বাহিনী এবং মিত্র গোষ্ঠীগুলো গত তিন দিনে ৭৪৫ জন আলাউইত বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সিরিয়ায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। দুপক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে ১২৫ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং বাশার আল-আসাদের অনুগত ১৪৮ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় এমন এলাকাগুলোতে আসাদের প্রতি অনুগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে লাতাকিয়ায় লড়াইরত আসাদের অনুগতদের প্রতি একটি সতর্কবার্তা জারি করেন।

তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আবার কেউ কেউ খুনি এবং অপরাধীদের রক্ষায় পালিয়ে যাওয়ার ও মৃত্যুর জন্য জোর দিচ্ছে। পছন্দটি স্পষ্ট; আপনার অস্ত্র জমা দিন অথবা অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হোন।

এ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার জন্য এই অঞ্চলটি একটি বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে আলাউইত সম্প্রদায়ের কর্মীরা বলছেন, আসাদের পতনের পর থেকে তাদের সম্প্রদায় সহিংসতা ও আক্রমণের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে, হোমস ও লাতাকিয়ার গ্রামীণ এলাকাগুলো এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে।

অপরদিকে আলাউইতের বিদ্রোহীদের অস্ত্র জমা ও আত্মসমর্পণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রচারিত এক বক্তব্যে শারা বলেন, আপনারা সিরীয় নাগরিকদের ওপর আক্রমণ এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। আপনাদের অস্ত্রগুলো জমা দিন এবং দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই আত্মসমর্পণ করুন।

উপকূলীয় লাতাকিয়া ও তারতুসে শনিবার পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। ওই এলাকাগুলোকে আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া হোমস শহরেও কারফিউ জারি করা হয়েছে। আসাদের অনুগত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং তাদের সমর্থকদের লক্ষ্য করে নিরাপত্তা অভিযান চালানো হচ্ছে। এসব অভিযানের সময় বেসামরিক নাগরিকদের নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

জেবি