সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ৯৪ রিসোর্ট, দোকান ও রেস্তোরাঁ পুড়ে ছাই

শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ৯৪ রিসোর্ট, দোকান ও রেস্তোরাঁ পুড়ে ছাই

আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছিল, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার, শর্টসার্কিট বা সিগারেট থেকে আগুন লাগতে পারে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে

রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯৪টি রিসোর্ট, দোকান, রেস্তোরাঁ ও বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার দুপুরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। দুর্গম এলাকা হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস দল সেখানে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছিল, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার, শর্টসার্কিট বা সিগারেট থেকে আগুন লাগতে পারে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাজেক ইউনিয়নের ইকো ভ্যালি রিসোর্ট থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা আশেপাশের রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয়রা চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। বাঘাইছড়িতে ফায়ার সার্ভিস না থাকায় খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি ও দীঘিনালা থেকে ১১টি ইউনিট ছুটে এলেও সাজেকে পৌঁছতে তাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। বিকেল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মণ জানান, আগুনে ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতঘর, ২০টি দোকান ও ৭টি রেস্তোরাঁ পুড়ে গেছে। এসব স্থানের কোনো মালপত্র রক্ষা করা যায়নি।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকের হোসেন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর আশপাশে পানি ছিটানো হয়েছে যাতে আগুন আবার না ছড়ায়। তবে পাহাড়ের ওপর হওয়ায় পানি সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানান, সাজেকে সাময়িকভাবে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।