সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পলিটেকনিকের শিক্ষককে ধরে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা

জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গঠিত সাইবার সিকিউরিটি কমিটির সদস্য শিক্ষক মো. সোবহানকে আটক করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গঠিত সাইবার সিকিউরিটি কমিটির সদস্য শিক্ষক মো. সোবহানকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা।

সোবহান লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিকস বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে (অস্থায়ী) কর্মরত। তিনি আওয়ামীপন্থি হিসেবে পরিচিত।

জানা গেছে, জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২৯ জুলাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। এর নাম দেওয়া হয় সাইবার সিকিউরিটি কমিটি। এতে মো. সোবহান সদস্য ছিলেন। গত বছরের পাঁচ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

হঠাৎ করে তাকে লক্ষ্মীপুরে দেখা যায়। এতে শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

তবে শিক্ষক মো. সোবহান দাবি করেছেন, তিনি কখনও ছাত্রদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিরোধিতা করেননি। কাউকে কখনও হয়রানি করা হয়নি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, সোবহান নামে একজনকে শিক্ষার্থীরা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। তিনি আটক রয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ ও শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ/পেজ নজরদারি করা এবং উসকানিমূলক পোস্ট প্রদান করা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষকদের সমন্বয়ে সাইবার সিকিউরিটি কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে সোবহান ছাড়া অন্যরা হলেন আহ্বায়ক চিফ ইন্সট্রাক্টর (নন-টেক) আতিকুর রহমান, সদস্যসচিব ইন্সট্রাক্টর (টেক/কম্পিউটার) খালেদ হোসেন, সদস্য ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান (টেক/কম্পিউটার) মারুফ হোসেন, ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান (টেক/ইলেকট্রিক্যাল) রিয়াজ হায়দার পাবেল, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক-ইলেকট্রনিকস) কাকন চন্দ্র দাস ও জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (নন-টেক) মোশাররফ হোসেন।

জেবি