জেলা প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল, অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী এবং দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে, ইতিহাসের বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন নিজ বিভাগের শিক্ষককে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই চতুর্মুখী বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লালকার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল। সে সময় তারা স্লোগান দেয়– ‘মানি না মানবো না, হানি ট্র্যাপের প্রক্টর’, ‘প্রক্টর ভিসি, কল পেলেই খুশি’, ‘আমার ভাই হাসপাতালে, প্রশাসন নিয়োগ করে’, ‘কাননের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমরা লাল কার্ড দেখিয়েছি। জুলাই বিপ্লবের পর থেকে এই প্রশাসন নারীবিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করছে। উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দুই নারী শিক্ষার্থীকে অভিভাবক ডেকে আপ্যায়নের হুমকি দিয়েছেন– আমরা তাদের লাল কার্ড দেখিয়েছি। আমরা লাল কার্ড দেখিয়েছি সেই জামায়াত নেতাকে, যে দাবি করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তাদের মালিকানাধীন এবং তাদের অনুগত সংগঠনকে, যারা জোবরা সন্ত্রাসীদের দায়মুক্ত করেছে। আমরা অবিলম্বে এই নারীবিদ্বেষী ও ব্যর্থ প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করছি।’
অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দের নেতাকর্মীরা গণস্বাক্ষর নিয়ে উপাচার্যের কাছে তাদের সাত দফা দাবি লিখে স্মারকলিপি প্রদান করে। সে সময় গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা তিন দিন ধরে অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে আন্দোলন করছি সাত দফা দাবি নিয়ে। এই সাত দফা দাবির অন্যতম হলো প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ। আমরা গণস্বাক্ষর নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। প্রশাসনের কাছে আবেদন, তারা যেন দ্রুত এই প্রকটরিয়াল বডিকে অপসারণ করে।’
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভাগের ছোট বোনকে অবমাননার বিচার চান। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত দারোয়ানের নামে আইনি ব্যবস্থা এবং প্রশাসনের পদত্যাগের দাবি করেন।
অপরদিকে ইতিহাস বিভাগের আরেক দল শিক্ষার্থী সে সময় অবস্থান নেন। এ সময় তারা স্লোগান দেন– ‘শিক্ষকের লাঞ্ছনা, মানি না মানবো না’, ‘মববাজদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে মানি না মানবো না’, ‘লাল সন্ত্রাসের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’।
এ সময় ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদুর রহমান বলেন, ‘৩১ আগস্টের ঘটনা তদন্তাধীন থাকার পরেও কিছু শিক্ষার্থী আমাদের বিভাগের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছে। তিনি সংঘর্ষের দিন ছুটিতে ছিলেন। এ ধরনের লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে আজকের কর্মসূচি পালন করেছি।’
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0