বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবদুল কাদের।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিন চত্বরে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মলনে এ অভিযোগ করেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেল ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’র ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র দূরে স্থাপন করা হচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি গাদ্দারির শামিল। তাছাড়াও বিএনপি এবং জামায়াতের নেতারা ঢাবির শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। যা আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।’
কাদের বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেঁধে দেওয়া আচরণবিধি মেনেই প্রচারণা চালিয়েছি। ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আচরণ লঙ্ঘন করেছেন। তাদের কথায় তফসিলও পেছানো হয়েছে।’
বাগছাস নেতা বলেন, ‘জামায়াত গ্রামে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে ভোট চাচ্ছে। প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে ফোকাস কোচিং সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন সাদিক কায়েম। ক্যাম্পাসে জামায়াত ও বিএনপি নেতারা বসে থাকেন। শিক্ষার্থীদের নাজিরাবাজারে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। এটি আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে স্বতন্ত্র পরিচয় দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। অথচ তারা ঠিকই কোনও না কোনও রাজনৈতিক সংগঠন যুক্ত। অপরদিকে আমরা বিগত দিনে ছাত্রলীগের চোখে চোখ রেখে কথা বলেছি। ঝুঁকি নিয়ে হলে থেকেছি। মাথা উঁচু করে টিএসসিতে দাঁড়িয়েছি। আমরা নতুন নই। অতীতে যেভাবে ভূমিকা রেখেছি, আগামীতে ও এমনটি করবো।’
কাদের জানান, জগন্নাথ হল ও ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে তার প্যানেল।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী বাকের মজুমদার বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে। কারণ, কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। কোনও অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়নি। কার্জন হল ও বঙ্গমাতা হলের ভোটকেন্দ্র দূরে স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটি গোষ্ঠীকে জয়ী করার চেষ্টা করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে ভাবছেন শিক্ষার্থীরা।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে ভোট চাওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং থেকে তথ্য চুরি হয়েছে। তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই এমনটি করতো শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ। ঢাবির শিক্ষার্থীরা ব্যালটে এর জবাব দেবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নাহিদ ইসলাম ডাকসুর ভোটার। তিনি যে কারোর পক্ষেই ভোট চাইতে পারেন। তিনি শুভ কামনা করতে পারেন।’
মাহিন সরকারকে নির্বাচন থেকে সরাতে মন্ত্রিপাড়া থেকে চাপ দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি তিনি ভালো বলতে পারবেন। তবে মাহিন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রেখেছেন। আমরা মনে করি তিনি তার সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছেন।”
তাদের প্যানেলের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী আশরেফা খাতুন বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে গিয়েছি। অনলাইনে অনেক জিতে গেছেন। অথচ অফলাইনে আমরা উৎসাহ পাচ্ছি। আশা করি আমরা ভালো করবো। ফেসবুক দেখে ফলাফল আসবে না। ব্যালটেই তার প্রমাণ হবে।’
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0