Logo

অনলাইনে ট্রেনের আগাম টিকিট পেতে একটি আসনের জন্য ১০০টির বেশি হিট

বাংলাদেশ রেলওয়ে ঈদযাত্রা উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে । মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) যারা টিকিট ক্রয় করেছেন তারা আগামী ২৮ মার্চ ভ্রমণ করতে পারবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ রেলওয়ে ঈদযাত্রা উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে । মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) যারা টিকিট ক্রয় করেছেন তারা আগামী ২৮ মার্চ ভ্রমণ করতে পারবেন।

রেলওয়ে জানিয়েছে, আগামী ২৮ মার্চ সারাদেশে ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিট কাটতে সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১ কোটি ১৬ লাখ হিট বা টিকিট কাটার চেষ্টা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল আটটার দিকে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল আটটায় এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর দুটা থেকে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

রেলওয়ের তথ্য বলছে, পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চল মিলিয়ে আগামী ২৭ মার্চ ট্রেনে যাতায়াতের জন্য ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর আসন সংখ্যা ৩৩ হাজার ১৯৯টি। সারা বাংলাদেশে এই আসন এক লাখ ৭৫ হাজার ৬৩০টি।

সকাল আটটা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার ৬৬৭টি, সারাদেশের ১৪ হাজার ৫৯৮টি। সকাল আটটা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে যাত্রার ১৪ হাজার ৫২২ এবং সারাদেশের ১৯ হাজার ৮৩৪টি টিকিট বিক্রি হয়েছে।

এসব টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটেই টিকিট কিনতে দেড় কোটি হিট পড়ে বা টিকিট ক্রয়ের চেষ্টা করা হয়েছে৷ আগামী ২৮ মার্চ ভ্রমণের জন্য ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সংখ্যা ১৬ হাজার ৫৬৫ টি এবং পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৩৪টি।

এর আগে গত রবিবার (৯ মার্চ) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ মার্চের টিকিট ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ, ৩০ মার্চের টিকিট ২০ মার্চ পাওয়া যাবে।

এছাড়া চাঁদ দেখার ওপরে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে৷ ঈদযাত্রা সব টিকিট অনলাইনে ক্রয় করতে হবে। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

এছাড়া বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাতো বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু এবার সেটি কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ নামে দুটি এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪ নামে একজোড়া ট্রেন চালানো হবে; ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে পাবর্তীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে।

এছাড়া ঈদে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৪৪টি (পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ২৮টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৩৬টি ব্রডগেজ) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ১৯টি (মিটারগেজ ১৪টি ও ব্রডগেজ থেকে ৫টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পরে যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

জেবি

Related Posts বাংলাদেশ