বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫

ঘুমানোর আগে রিলস দেখার অভ্যাস কতটা ক্ষতিকর

বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও বা রিলস দেখার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। আমরা অনেকেই রাত জেগে রিলস দেখে সময় কাটাই। কিন্তু জানেন কি, এই অভ্যাস ধীরে ধীরে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

ডেস্ক নিউজ: বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও বা রিলস দেখার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। আমরা অনেকেই রাত জেগে রিলস দেখে সময় কাটাই। কিন্তু জানেন কি, এই অভ্যাস ধীরে ধীরে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমানোর আগে টানা রিলস দেখা শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরই নয়, প্রভাব ফেলে শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরও। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ঘুমানোর আগে টানা রিলস দেখার ফলে বাড়ছে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি।

সম্প্রতি চিনের এক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বয়সের চার হাজার ৩১৮ জনের ওপর একটি গবেষণা করা হয়। গবেষকদের মূল লক্ষ্য ছিল, ঘুমাতে যাওয়ার আগে রিলস দেখার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের কোনো সম্পর্ক আছে কি না।

সেই গবেষণাতেই রিলস দেখার সঙ্গে হাইপারটেনশনের ঝুঁকির যোগসূত্র খুঁজে পান তারা। বিশেষ করে তরুণ ও মধ্যবয়সীদের মধ্যে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

মানসিক চাপ

মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর রিলসের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে অনেকদিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছেন গবেষকরা। করোনা সংক্রমণের সময় সামাজিক মাধ্যমে রিলসের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।

অতিরিক্ত রিলস দেখা মনের ওপর চাপ ফেলে। জেন জি ও জেন আলফার কনসেনট্রেশন ধরে রাখতে না পারার পিছনেও এই রিলসকে দায়ী করেছেন গবেষকরা। পাশাপাশি এর প্রভাবে চিন্তার খোরাক কমে যাওয়া, সৃজনশীল চর্চার পরিধি এবং স্থায়িত্বেরও ব্যাঘাত ঘটে চলেছে ক্রমাগত।

রিলস ও ডুমস্ক্রোলিংয়ের বদ অভ্যাসের জেরে ব্রেন রট হওয়া খুব স্বাভাবিক। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে রিলস দেখার পরিণাম আরো ভয়াবহ।

রিলস দেখার ফলাফল

স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, টেলিভিশন কিংবা ভিডিয়ো গেম- স্ক্রিনের দিকে একটানা তাকিয়ে থাকা কারো পক্ষেই ভালো নয়। এসব কাজের সময় শরীর যেটুকু নড়াচড়া করে, রিলস দেখার সময় সে সবের কোনো অবকাশই থাকে না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিলস দেখেন। দীর্ঘক্ষণ একইভাবে থাকার কারণে শরীর আড়ষ্ট হয়ে পড়ে। ফলে রক্ত চলাচলও স্তিমিত হয়ে পড়ে। এর জেরে শরীরে হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা দানা বাঁধে স্বাভাবিক ভাবেই।

আবার এইভাবে দীর্ঘক্ষণ রিলস দেখার সময় শরীরের সিম্পেথেটিক নার্ভাস সিস্টেম আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে ভিডিও দেখার সময় হৃৎস্পন্দন তুলনামূলক বেড়ে যায়। টানা একই কাজ করলে এর প্রভাব হতে পারে ভয়াবহ।

প্রতিকার

প্রতিকার হিসেবে গবেষকদের পরামর্শ, যতই রিলস দেখুন না কেন, তাতে আসক্ত হয়ে পড়া চলবে না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্ক্রিন টাইম ঠিক করে নিন। প্রয়োজনে স্মার্ট দূরে রেখে ঘুমাতে যান। এতে ঘুম যেমন ভালো হবে, শরীরও পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাবে।

সূত্র: এই সময়

জেবি