বাংলা ফ্লো প্রতিবেদক
ঢাকা: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রতিবাদ হয়েছে। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাপকভাবে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বাইরের বিভাগ ও জেলাগুলোতে মানববন্ধন এবং সমাবেশ করা হয়েছে।
এসব সমাবেশ থেকে ইসরায়েলি পণ্য বর্জন ও ইহুদিবাদী দেশটিকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিক্ষোভ থেকে ‘ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বয়কট ইসরায়েল’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ইসরায়েল উইল বি সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘নিউইয়র্ক উইল বি সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়।
বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভের চিত্র:
কুমিল্লা—
সকাল থেকে বিক্ষোভে উত্তাল ছিল কুমিল্লা নগরী। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পর বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোও প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
কুমিল্লায় বিক্ষোভ-মিছিল করেছে এনসিপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়েও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরীর আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, ‘ইসরাইলের গুন্ডারা মুসলমানদেরকে নির্বিচারে হত্যা করছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দাবি— দ্রুত সময়ে জাতিসংঘের কাছে ফিলিস্তিনদের রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করুন। সারাবিশ্বের মুসলমানদের ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
নরসিংদী
সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা অবধি শহরের প্রায় ১০ হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।
সকাল থেকেই শহরের শিক্ষাচত্বর মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও অন্যান্য পেশাজীবীদের সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি নরসিংদী প্রেসক্লাব এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জেলখানার মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেয়।
পরে বেলা সোয়া ১১টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ সময় ইসরায়েলি পণ্য বর্জন, হামলার বিচার দাবিসহ অন্যান্য স্লোগানে মুখরিত হয় বিক্ষোভস্থল। গাজাকে রক্ষার পাশাপাশি দাবি ওঠে ইসরাইলের বিচারের। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।
গোপালগঞ্জ—
সারাদিন ইসরায়েল ও ট্রাম্পবিরোধী স্লোগানে উত্তাল ছিল এই জেলা। গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেরও কর্মসূচি ছিল।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন ডাক্তারদের আয়োজনে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বর্বরচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থীরা স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। এছাড়া বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওলামা পরিষদের আয়োজনে গোপালগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র লঞ্চঘাট এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
খুলনা—
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছেন। তাদের বর্বরতা থেকে নারী-শিশু কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। অনবরত বোমার আঘাতের মসজিদ-মাদরাসা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিশ্ব মানবতা তার দিকে কোনো নজর দিচ্ছে না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান।
কিশোরগঞ্জ—
কিশোরগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সাধারণ মানুষ। জোহরের নামাজের পর কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের শহীদী মসজিদ এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদী মসজিদ চত্বরে এসে একত্রিত হয়।
পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এ সময় জেলা শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এদিকে সকালে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে একই দাবিতে ‘নো ক্লাস, নো এক্সাম, নো স্কুল’ কর্মসূচি পালন করেন কিশোরগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
এই কর্মসূচিতে ইনস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনাজপুর—
এ জেলায়ও ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে মিছিলের শহরে পরিণত দিনাজপুর। এ সময়ে তারা ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।
দিনাজপুর সরকারি কলেজ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ও পলিটেকনিক কলেজ মোড়সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করা হয় একাধিক মিছিল। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলা শহরে বের করা হয় ইসরায়েলবিরোধী বহু মিছিল। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করেন তারা।
লালমনিরহাট—
জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের ডাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা শহরের বিভিন্ন শহর প্রদক্ষিণ করে তুষভান্ডার সুপার মার্কেটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে কর্মসূচি শেষ হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সরওয়ার জাহান রাফিন, তুষভান্ডারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুনতাসির রহমান রিপন ও হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশিদ।
সমাবেশে বক্তারা গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি করেন ও ইসরাইলি পণ্য বর্জনে সবাইকে আহ্বান জানান।
সুনামগঞ্জ—
জেলার আনোয়ারা মুজাহিদ নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। দুপুর ১২টায় সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলফাত স্কয়ারে গিয়ে পথসভায় মিলিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ইসরাইলের হানাদাররা লাগাতার ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করে আসছে, যা মানবতাকে কলঙ্কিত করেছে। কিন্তু বিশ্ব আজ নীরব ভূমিকা পালন করছে, আজ আমাদের ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই।
বরিশাল—
জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদর রোডে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ। এরপর ‘মার্চ টু ফিলিস্তিন’ লেখা ব্যানার নিয়ে সদর রোডে ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।
এ সময় ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যার তীব্র নিন্দা এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, ইসরায়েল যদি এখনই হামলা বন্ধ না করে, তবে মুসলিম বিশ্ব ‘মার্চ টু ফিলিস্তিন’ কর্মসূচির মাধ্যমে জবাব দেবে।
ঝালকাঠি—
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকাল ৯টায় সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
এ সময় ঘৃণা জানাতে নেতানিয়াহুর ছবি পদদলিত করা হয়। কেবল ধর্ম নয়, বিশ্ব মানবতা রক্ষায় আহ্বান জানানো হয় এ কর্মসূচি থেকে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে। এ সময় সময় শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
যশোর—
যশোরে হাজারো ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। ‘লাখো শহীদের রক্তের ঋণ, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়েছে শহরের রাজপথ। সকালে যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা ভৈরব শহীদ চত্বরে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি এমএম কলেজ, সিটি কলেজ, আল হেরা ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা দড়াটানা থেকে একটি বিশাল মিছিল বের করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এসে শেষ করেন। সমাবেশে বক্তব্য দেন লেখক ও গবেষক বেনজিন খান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সমন্বয়কারী রাশেদ খান।
বক্তারা বলেন, জায়নবাদী ইসরায়েল মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। তারা ফিলিস্তিনকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
টাঙ্গাইল—
সকালের দিকে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলবিরোধী মিছিল বের করেন। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হন তারা। মিছিলে নানা শ্রেণি-পেশার লোক যোগ দেন।
এ সময় তারা ইসরায়েলবিরোধী এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে শ্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মিছিল শেষ হয়। টাঙ্গাইল হেফাজতে ইসলাম দুপুর ২টার দিকে মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে একত্র হয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
রাজশাহী—
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং রাজশাহী নগরীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসের প্যারিস রোডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনিস্টিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এছাড়া দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সালেহ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মাসুদুল হাসান খান মুক্তাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী কলেজে সংহতি সমাবেশ করা হয়। এসব কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ছাড়াও মুসল্লিরা অংশ নেন। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।
গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়ে তারা আরও বলেন, আমেরিকার মতো যেসব দেশ এমন গণহত্যা দেখেও নিশ্চুপ, তাদের বয়কট করতে হবে।
ময়মনসিংহ
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে ময়মনসিংহের সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে নগরীর টাউন হল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
এ সময় ইসরায়েলি বর্বরতার বিপক্ষে লেখা নানা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা বলেন, ‘অনতিবিলম্বে এই হত্যা বন্ধ করতে হবে।’ এ সময় বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
রাজবাড়ী
সোমবার সকাল ১০টার দিকে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে গোয়ালন্দ সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে শত শত ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি মহাসড়ক হয়ে উপজেলা কোর্টচত্বর মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে ফিলিস্তিনের নিহত ও আহতের স্মরণে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা জানান, ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের মাধ্যমে মুসলমানদের ওপর জুলুম অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ শুরু করা উচিত। তা ছাড়া ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় মুসলমানদের ওপর নারকীয় হত্যা বন্ধ করতে বিশ্ব মুসলিমদের একতাবদ্ধ হওয়ার বিকল্প কিছু নেই।
জীবনবাজি রেখে মুসলমানদের রক্ষায় যুদ্ধে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীরা আরও জানান, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নিরীহ গাজাবাসীর উপর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক বর্বরোচিত হামলা, গণহত্যা এবং ভারতে মুসলিমদের শ্লীলতাহানি ও হত্যার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশের মতো রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের রাজপথে বিক্ষোভে নেমে এসেছে। এরপর থেকে যদি বিশ্বের কোনও মুসলমানের ওপর হামলা করা হয় তাহলে বিশ্বের মুসলিমও বসে থাকবে না। মহান আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে তাই বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।
কুড়িগ্রাম
সারা দেশের মতো আজ কুড়িগ্রাম জেলা শহরের শাপলাচত্বরেও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। ইসরায়েলি বর্বরতায় ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে হাজারো মুসলিম জনতা ও শিক্ষার্থী প্রতিবাদী স্লোগান নিয়ে মিছিলে অংশ নেয়।
‘ধর্মপ্রাণ মুসলমান’ ব্যানারে আয়োজিত এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নির্বিচারে মানুষ হত্যার জন্য ইসরাইলের প্রতি ধিক্কার জানানো হয়। একই সঙ্গে নজিরবিহীন এই হত্যাযজ্ঞ ও আগ্রাসন বন্ধ করতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানানো হয়। একই দাবিতে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। পরে তারা জেলা শহরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
খাগড়াছড়ি
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা বন্ধের দাবিতে খাগড়াছড়ির জেলার নয় উপজেলায় বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন ইসলামি দল ও ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ। জেলার সদর উপজেলা, মাটিরাংগা, মানিকছড়ি, মহালছড়ি, দিঘিনালা, পানছড়ি, গুইমারা, রামগড়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তারা ইসরায়েলি হামলা বন্ধ, ফিলিস্তিন ভূমি দখলের আগ্রাসন বন্ধ করার দাবির পাশাপাশি ইসরায়েলের পণ্য বয়কটের দাবি জানান।
সিলেট
নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতম গণহত্যার প্রতিবাদে ডাকা বৈশ্বিক ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে সিলেটে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলে মিছিলে পুরো সিলেট যেন একটা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
এসব মিছিল থেকে গণহত্যার প্রতিবাদের পাশাপাশি ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হচ্ছে। ধর্মঘটের সমর্থনে সিলেটে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে নগরীতে ধাপে ধাপে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। এ ছাড়াও ছাত্র-জনতা, বিভিন্ন ইসলামি দল, সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল যে ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা চালাচ্ছে, তা ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ, ওআইসি এবং আরব লিগের নীরব ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক।
নারায়ণগঞ্জ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল নারায়ণগঞ্জ। জেলার শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করছেন। সকাল থেকে দুপুরে পর্যন্ত চাষাঢ়া শহীদ মিনার ও বিজয়স্তম্ভ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছল করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে পুরো শহরের সঙ্গে ঢাকা ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
অবরোধকালে শিক্ষার্থীরা গাজাবাসী ও ফিলিস্তিনের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘গাজায় নির্বিচারে গুলি করে, বোমা মেরে মানুষ মারা হচ্ছে। আমরা ইসরায়েলের শাস্তি চাই। সেই সঙ্গে বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানাই।’
শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করে। জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশ নিতে দেখা গেছে। দুপুরে শহরের চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভের সামনের মূল সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীদের জোহরের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘গাজাবাসীর ওপর বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। ইসরায়েলের বর্বরোচিত আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে লোকজন এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।’
এদিকে, দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় সাধারণ মুসল্লিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা স্লোগান দেয় ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘কারবালার হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’।
বাগেরহাট
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন এবং নিরীহ ফিলিস্থিনিদের ওপর চালানো বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাগেরহাট। বেলা ১১টায় বাগেরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ছাত্র ও জনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘ফিলিস্থিনে হামলা কেন? জাতিসংঘ জবাব চাই’; ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’; ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন চাই’।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বিশ্ব বিবেক আজ নির্বিকার। কোথায় সেই মানবাধিকার? যেখানে শিশু, নারী, সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, সেখানে জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘আমরা মুসলমান, আমরা একটি দেহের মতো। একজন মুসলিম কষ্টে থাকলে অন্যদেরও সেটা অনুভব করতে হবে। আজ আমাদের লজ্জা হয়, আমরা এখনও ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছি না।’
সমাবেশে বক্তারা মুসলমানদের ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা আজ থেকেই ইহুদিদের পণ্য বর্জনের আন্দোলনে শরিক হব। ইসরায়েলি অর্থনীতিকে দুর্বল করতে হলে আমাদের বর্জনের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে হবে।’
গাইবান্ধা
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধা জেলা শহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সর্বস্তরের জনতা।
দুপুরে জেলা শহরের বড় মসজিদ এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ১নং রেল গেট এলাকায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় ইসরায়েলের বিচারের দাবিতে নানা ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়।
এর আগে, বেলা ১১টায় শহরের পৌর পার্ক এলাকা থেকে সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এতে প্রতিবাদী নানা স্লোগান নিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
এ ছাড়া ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা শহরে। ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘অনতিবিলম্বে এই হত্যা বন্ধ করতে হবে। নজিরবিহীন এই হত্যাযজ্ঞ ও আগ্রাসন বন্ধ করতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।’ এ সময় ইসরায়েলি সব ধরনের পণ্য বয়কটের বয়কটের ঘোষণা দেন তারা।
বগুড়া
ফিলিস্তিনের গাজায় মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ও ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের দাবিতে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা সোমবার দুপুরে বগুড়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। মিছিল শেষে শহরের সাতমাথায় বাটার শো-রুমে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে বগুড়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মিছিল নিয়ে ছাত্রছাত্রী ও জনতা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১১টার দিকে মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ ও হামলাকারী ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিল চলাকালে শহরের বিভিন্ন সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। মিছিল শেষে বিক্ষোভকারীরা সাতমাথায় ফিরে এসে ইসরায়েলি মালিকানাধীন বাটার শো-রুমে হামলা চালান। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে শো-রুমের কাচের বেষ্টনী ভাঙচুর করেন।
সাতক্ষীরা
গাজায় মুসলমানদের ওপর অব্যাহত গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচি চলাকালে বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদমূলক বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড এলাকায় গাজাবাসীর জন্য ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির আওতায় সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
বিক্ষোভকারীরা প্রথমে খুলনা রোডে মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে মিছিল সহকারে নিউ মার্কেট মোড় সাতক্ষীরা-শ্যামনগর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও ক্লাস-পরীক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির মাধ্যমে আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
বাংলাফ্লো/এসবি
Comments 0