আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চার ইসরায়েলির লাশ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো। এর কিছুক্ষণ পরেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফেরত আসেন মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের বড় একটি দল।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় নিশ্চিত করেছে, তারা চারজনের লাশ গ্রহণ করেছে এবং তাদের পরিচয় শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রামাল্লায় এএফপির সাংবাদিকরা দেখতে পান, ছয় শতাধিক বন্দির প্রথম দলটি একটি বাস থেকে নেমে আসেন। এ সময় উচ্ছ্বসিত জনতা তাদের ঘিরে ধরে।
তাদের মুক্তি গত সপ্তাহান্তেই হওয়ার কথা ছিল। তবে হামাসের আয়োজন করা জাঁকজমকপূর্ণ হস্তান্তর অনুষ্ঠান নিয়ে ক্ষোভের পর ইসরায়েল তা স্থগিত করে। এই বিরোধের ফলে গাজায় জানুয়ারি ১৯ থেকে কার্যকর হওয়া নাজুক যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
এদিন মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েকজনকে কাঁধে তুলে উদযাপন করতে দেখা যায়, কেউ কেউ সেখানে দাঁড়িয়ে সাক্ষাৎকারও দেন।
এর আগে হামাস জানায়, চার ইসরায়েলির লাশের হস্তান্তর গোপনীয়ভাবে করা হবে যাতে দখলদার বাহিনী কোনো অজুহাত দেখিয়ে প্রক্রিয়া বিলম্ব বা বাধাগ্রস্ত করতে না পারে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিহত চারজন হলেন ওহাদ ইয়াহালোমি, সাচি ইদান, ইতজিক এলগারাত এবং শ্লোমো মানসুর।
এখন পর্যন্ত ২৫ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ১০০র বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি। তবে দুপক্ষের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শীর্ষ দূত জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা রওয়ানা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা অনেক অগ্রগতি করছি। ইসরায়েল এখনই একটি দল পাঠাচ্ছে। আলোচনা দোহা বা কায়রোতে শুরু হবে। সেখানে মিশরীয় ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীরা থাকবেন।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ আগামী শনিবার শেষ হওয়ার কথা। তবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে পরবর্তী ধাপের আলোচনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও হয়নি।
সূত্র: এএফপি
জেবি