বাংলাফ্লো আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ঢাকা: মার্কিন অর্থনীতিকে ঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে আরেকটু সময় চাইলেন ব্যবসায়ীদের কাছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গতকাল বুধবার বিকেলে ব্যবসায়িক নেতাদের নিয়ে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক ইভেন্টে তিনি এই আহ্বান জানান। এ সময় জিডিপি আশানুরুপ না হওয়ার পেছনে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেন ট্রাম্প।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, মার্কিন অর্থনীতি সংকোচনের ফলে তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এ আশঙ্কার কথা বারবার বলছে। এমন সময়ে এই অর্থনীতিকে ঠিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আরও সময় চাইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

তবে এসব আশঙ্কা ও তথ্য ভুল বলে দাবি করেন রিপাবলিকান এই নেতা। কারণ হিসেবে তিনি জানান, শুল্ক আরোপের আগে কোম্পানিগুলো আমদানি মজুত করে রেখেছিল।

ট্রাম্প বলেছেন, ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যা আমেরিকান উৎপাদন দক্ষতা পুনরুদ্ধার করবে।

মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে, দেশটির অর্থনীতি বার্ষিক ০.৩% হারে সংকুচিত হয়েছে, যা আগের প্রান্তিকে ২.৪% প্রবৃদ্ধির পর তীব্র মন্দা। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর এমন তথ্য এল। এছাড়া জনমত জরিপে তাঁর অর্থনৈতিক নেতৃত্বের ওপর জনসাধারণের অসন্তোষের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

এমতাবস্থায় ১০০ বছর উপলক্ষে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললেন ট্রাম্প। আর সেখানে এসব শঙ্কার কারণ হিসেবে তাঁর পূর্বসূরী জো বাইডেনের ওপর দোষ চাপালেন এই নেতা।

তিনি বলেন,এটা তো বাইডেনের অর্থনীতি। কারণ আমরা গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করেছি। আমার মনে হয় আপনাদের উচিত আমাদেরকে আরেকটু সময় দেওয়া।

এর জবাবও দিয়েছেন বাইডেন সমর্থকেরা। মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের মাইনোরিটি লিডার কংগ্রেসম্যান হাকিম জেফরিস বলছেন,এটা তো জো বাইডেনের অর্থনীতি নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প, এটা আপনার অর্থনীতি। এটা ট্রাম্পের অর্থনীতি। এটা একটা ব্যর্থ অর্থনীতি এবং আমেরিকার মানুষ তা জানে।

বুধবার হোয়াইট হাউসের অনুষ্ঠানে ট্রাম্প প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোতে পরিকল্পিত বিনিয়োগের কথা তুলে ধরেন। তিনি হুন্দাইয়ের জোসে মুনোজ, টয়োটার টেড ওগাওয়া এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের জোয়াকিন ডুয়াটোসহ প্রধান কোম্পানিগুলোর সিইওদের পরিচয় করিয়ে দেন।

ট্রাম্প কংগ্রেসকে তার কর বিল পাস করার জন্যও আহ্বান জানান, যার মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের কর এবং ব্যয় হ্রাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু ডেমোক্র্যাট এবং কিছু রিপাবলিকানদের বিরোধিতার মুখোমুখি রয়েছে এই বিল।

বাংলাফ্লো/এসএস