উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হত্যার নিন্দা, বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি শ্রমিক ফেডারেশনের

বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হত্যার নিন্দা, বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি শ্রমিক ফেডারেশনের

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন। সংগঠনটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা এবং নিহত শ্রমিকের পরিবারের জন্য আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড মানস নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা এই দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রিন লিমিটেডের শ্রমিকরা গত চারদিন ধরে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহাল, ছাঁটাই বন্ধ, উৎপাদন টার্গেট কমানো ও ওভারটাইম পরিশোধসহ ২০ দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও কর্মবিরতি চালাচ্ছিলেন। এতে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরাও যোগ দেন। কিন্তু সোমবার রাতে মালিকপক্ষ মজুরি পরিশোধ না করে হঠাৎ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করলে মঙ্গলবার শ্রমিকরা বিক্ষোভে নামেন। এক পর্যায়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালালে হাবিব নামে এক শ্রমিক নিহত এবং আরও অনেকে আহত হন।

সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেন, শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়কার ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়। তারা বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি জীবন দিয়েছিল শ্রমিকরাই। অথচ সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন মালিকদের স্বার্থে শ্রমিকদের দমন করছে, যা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি।

তারা অবিলম্বে শ্রমিক হত্যার সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি করেন। একইসঙ্গে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদানের আহ্বান জানান। এছাড়া শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন বন্ধ করারও দাবি তোলেন সংগঠনের নেতারা।

বাংলাফ্লো/সিএস