জেলা প্রতিনিধি,
কুড়িগ্রাম: রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় ৩ থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
রবিবার দুপুরে পাঠানো পূর্বাভাসে জানানো হয়, উজান থেকে আসা ঢল এবং দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে। এতে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুর জেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চলও সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরীতে ৬৯ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে। একই সময়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ১৬০ মি.মি. এবং মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ১৩১ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বিশেষ করে জলপাইগুড়িতে অতিভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি দ্রুত বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
পাউবোর কুড়িগ্রাম নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার পানি রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বর্তমানে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কুড়িগ্রাম শহরের ধরলা ব্রিজ গেজমিটারে ধরলা নদীর পানির সমতল কমে এসেছে।
পাউবোর কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। ধরলা ও দুধকুমারের নিম্নাঞ্চলেও সতর্কতা রয়েছে।’
বন্যায় বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত জেলায় কোনও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ঝুঁকি নেই। তবে আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে আছি। আশা করছি, বড় কোনো সমস্যা হবে না।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0