বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,
ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য ভোটের সামগ্রী সরবরাহ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে এসব সরঞ্জাম আসতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)।
গত কয়েকমাস আগে দেওয়া কার্যাদেশের ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই অন্তত ছয়টি সামগ্রী ধাপে ধাপে এনে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। গত ১১ সেপ্টেম্বরও কয়েকটি চালান এসেছে। রবিবারও কিছু সামগ্রী আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব রাশেদুল ইসলাম জানান, লাল গালা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, বড় হোসিয়ান ব্যাগ, ছোট হোসিয়ান ব্যাগ সামগ্রীর চাহিদার কিছু অংশ সরববাহ শুরু হয়েছে। বড় ও ছোট হেসিয়ান ব্যাগ চাহিদার সবগুলোই পৌঁছে গেছে। ধাপে ধাপে অন্যগুলোও আসছে।
এরই মধ্যে কেনাকাটা ও সরবরাহ শুরু হওয়া আট ধরনের মালামালের মধ্যে রয়েছে— লাল গালা; যার ২৩ হাজার কেজি চাহিদার এক চতুর্থাংশ পৌঁছে গেছে।
স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ৫০ লাখ লক চাহিদা; যার পাঁচ লাখ সরবরাহ শুরু হয়েছে। ৮ লাখ ৪০ হাজার দাফতরিক সিলের চাহিদা রয়েছে, এর পাঁচ লাখ সেপ্টেম্বরের শুরুতে সরবরাহ হয়েছে। মার্কিং সিল ১৭ লাখ ৫০ হাজার চাহিদা বিপরীতে দেড় লাখ সরবরাহ শুরু হয়েছে। ব্রাস সিল ১ লাখ ১৫ হাজার চাহিদা রয়েছে। তবে রিটেন্ডার হওয়ায় বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা যায়। আর ১ লাখ ১৫ হাজার গানি ব্যাগ; রিটেন্ডার হওয়ায় সরবরাহ শুরু হয়নি।
এছাড়া ৭০ হাজার বড় হেসিয়ান ব্যাগ চাহিদার সব সরবরাহ হয়েছে। একইসেঙ্গ এক লাখ ১৫ হাজার ছোট হেসিয়ান ব্যাগও চাহিদার সব সরবরাহ হয়েছে।
এদিকে সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরে আগস্টের শুরুতে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটা শেষ হবে। লোকাল পারসেজ প্রকিউরমেন্টে আটটি আইটেম ছিল। তার ভেতরে একটিতে পুনরায় দরপত্র দিতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে সময়সীমা রয়েছে, তার মধ্যে পাওয়া যাবে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটের সামগ্রীর অধিকাংশই নির্বাচন কমিশন থেকে সরবরাহ করা হয়। কিছু মনোহরি জিনিস রিটার্নিং অফিসারকে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহও করতে হয়। ভোট সামনে রেখে সুঁই-সুতা, দিয়াশলাই, আঠা ও কলম থেকে প্লাস্টিকের পাত– প্রতিটি কেন্দ্র ও বুথেরে জন্য এমন ২১ ধরনের জিনিস লাগে। আসনভিত্তিক ভোটার, ভোটকেন্দ্র ও সামগ্রিক প্রস্তুতি শেষ হলে তফসিল ঘোষণার পর আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা অফিসে ধাপে ধাপে তা বিতরণে যাবে। আর ব্যালট পেপারসহ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটের আগেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয় সব সরঞ্জাম।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0