বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: ঈদ জামাত শেষে পশু কোরবানির পর বিভিন্ন জেলায় মূল সড়কের পাশে, শহরের অলিগলিতে চলছে বর্জ্য অপসারণের কাজ।
পশুর বর্জ্য সরিয়ে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নগরীর বাইরে। রাতের মধ্যেই সব নগরী পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করছেন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
পশু কোরবানির পর বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রামের ৪১ ওয়ার্ডে ৪২০০ পরিচ্ছন্ন কর্মী, ৩৬৯টি যানবাহন ও বিশেষ স্কোয়াড মোতায়েন করেছে চসিক। মহানগরীকে দুই ভাগে ভাগ করে আরেফিন নগর এবং হালিশহরের ডাম্পিং স্টেশনে বর্জ্য পাঠানো হচ্ছে। কাজের সুবিধায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চালাচ্ছে চসিক।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এই শহর আসলে সবারই শহর। শহরটাকে সুন্দর রাখার জন্য আমাদের সবারই দায়িত্ববান হতে হবে। বিশেষ করে সামনে যেহেতু বর্ষাকাল আছে, জলাবদ্ধতা আমাদের মূল সমস্যা। কাজেই এই মুহূর্তে ময়লা আবর্জনা ফেলে যাতে নালাগুলো বন্ধ না করি।
ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে বর্জ্য অপসারণ শুরু করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। রাতের মধ্যেই শহর পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্য তাদের। সিলেটে বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন অন্তত ১৩শ পরিচ্ছন্ন কর্মী।
সিসিক প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা একলিম আবেদীন বলেন, ‘মাইকিংয়ের পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে, মসজিদে বলা হয়েছে, এমনকি লোকাল টিভির স্ক্রলে দেওয়া হয়েছে। নগরবাসী যতটুকু সহায়তা করেছেন এখন পর্যন্ত আমি তাদের ধন্যবাদ জানায়। এবং আমার শ্রমিকরা আমার পাশে আছেন, আশা করি সময়মতো একটা পরিছন্ন নগরী উপহার দিতে পারবো।’
বরিশালের ৩০টি ওয়ার্ডে পশু জবাইয়ের জন্য ২০২টি স্পট নির্ধারণ করে দেয় সিটি করপোরেশন। প্রায় এক হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী ব্যস্ত বর্জ্য অপসারণে।
খুলনায় কোরবানির বর্জ্য সংগ্রহের পর ট্রাকে করে নেয়া হচ্ছে নগরীর বাইরে কেসিসি বর্জ্য পরিশোধন প্লান্টে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য সিটি করপোরেশনের।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার বলেন, ‘প্রয়োজনীয় পরিষ্কার-পরিছন্নতার জন্য আমাদের বিভাগগুলো কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব পরিষ্কার-পরিছন্নতা করতে পারব।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0