জেলা প্রতিনিধি
নীলফামারী: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে তিস্তার পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি ৫২.৯ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়, যা বিপৎসীমার মাত্র ছয় সেন্টিমিটার কম। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।
পানি বৃদ্ধিতে নীলফামারীর ডিমলা ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ইতোমধ্যেই পানি প্রবেশ করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, পানির স্তর বাড়তে থাকলে চরাঞ্চল ও নিম্নভূমি প্লাবিত হতে পারে, যা ফসলি জমি ও ঘরবাড়ির জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। নদীপাড়ের মানুষরা গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে সরাচ্ছেন।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়ছে। এভাবে পানি বাড়লে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আমরা সতর্ক অবস্থান রয়েছি। ব্যারাজের সব স্লুইসগেট খোলা রাখা হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো) জানিয়েছে, আগামী তিন দিনে (১৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর) রংপুর বিভাগের প্রধান নদীগুলো, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মধ্যে তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নদীপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0