আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: পাকিস্তানভিত্তিক রাজনৈতিক দল বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির (বিএনপি) মিছিলে আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছে এবং এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। বুধবার দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় ঘটেছে এ বোমা হামলা।
এক বিবৃতিতে বেলুচিস্তান প্রাদেশিক সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বখত মুহম্মদ কাকার নিশ্চিত করে বলেছেন, ১৫ জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৩৮ জন। তাদের সবাইকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
“হামলাকারীর লক্ষ্য ছিল মিছিলের সামনের দিকে বিস্ফোরণ ঘটানো, কারণ সামনের দিকে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা ছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়াকড়ির কারণে হামলাকারী সামনে যেতে পারেনি”, বিবৃতিতে বলেন বখত মুহম্মদ কাকার।
এ ঘটনার তদন্ত করতে একটি উচ্চপর্যায়ের দল গঠন করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবারেও কোয়েটার শাহওয়ানি স্টেডিয়ামে বোমা হামলা হয়েছে। সেই হামলায় কেউ নিহত হননি, তবে আহত হয়েছেন অনেকে এবং আহতদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এখন পর্যন্ত শাহওয়ানি স্টেডিয়াম এবং বিএনপির সমাবেশে হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
বিএনপির সমাবেশে হামলার পর এক ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হামজা শাফকাত বলেছেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি যে এই হামলার জন্য আট কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। আরও জানতে পেরেছি যে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ বিএনপিকে প্রথমে মিছিল-সমাবেশের অনুমতি দিতে চায়নি, কিন্তু দলের সংগঠকদের চাপাচাপিতে অনুমতি দিতে বাধ্য হয়।”
আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর বয়স ৩০ বছরের কম হলেও তাকে শনাক্ত করা যায়নি উল্লেখ করে শাফকাত বলেন, “সরকার বিএনপির সমাবেশের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল, ১২০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল এবং সমাবেশ শেষ হওয়ার ৪৫ মিনিট পরে বিস্ফোরণটি ঘটে। যদি মূল সমাবেশ চলার সময় এই হামলা হতো, তাহলে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতো।”
তিনি জানান, মিছিল-সমাবেশের অনুমতি চেয়ে করা আবেদনে বিএনপি বলেছিল যে তারা আজ বিকেল ৩ টার দিকে মিছিল ও সমাবেশ শুরু করবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করে দলটি এবং হামলা ঘটেছে রাত ৯ টার দিকে।
“হামলার আগে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংঘটকদের অন্তত ৩ বার সমাবেশ শেষ করতে বলা হয়েছিল; কিন্তু দলটির সংঘটকরা সেই আহ্বান কানে তোলেননি”, সংবাদ সম্মেলনে বলেন হামজা শাফকাত।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ হামলা হতাহত এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছেন।
সূত্র : জিও নিউজ
বাংলাফ্লো/এফএ
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0