স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: ১৮ বছর পর শৈশবের ক্লাবের জার্সিতে ফিরলেন আনহেল দি মারিয়া। গোল করলেন, হৃদয় জিতলেন, কিন্তু ম্যাচ শেষ করলেন কান্নায়।
রোসারিও সেন্ট্রালের জার্সিতে আবার মাঠে নামা ছিল যেন এক আবেগঘন সিনেমার দৃশ্য—যেখানে উল্লাসের পরই আসে বেদনার পর্দা।
ক্লজুরা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই ঘরের মাঠ ‘গিগান্তে দে আরোজিতো’-তে গোদয় ক্রুজের বিপক্ষে শুরু থেকে খেলতে নামেন দি মারিয়া। ফেরার এই ম্যাচেই ৭৮ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করেন তিনি, যা রোসারিও সেন্ট্রালকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেয়।
পেনাল্টিতে গোল করার পর আবেগ সামলাতে পারেননি দি মারিয়া। জার্সি খুলে উদযাপন করায় দেখেন হলুদ কার্ড। শুধু পেনাল্টিই নয়, ম্যাচজুড়েই তিনি ছিলেন আক্রমণের প্রাণভোমরা। কর্নার, ফ্রি-কিক, ওপেন প্লে—সব জায়গায়ই তার পায়ের ছোঁয়ায় ছন্দ খুঁজছিল রোসারিও।
কিন্তু উচ্ছ্বাস টিকল না বেশি সময়। মাত্র ১১ মিনিট পর প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ভিসেন্তে পোজ্জির পেছন থেকে ট্যাকলে গোড়ালিতে মারাত্মক আঘাত পান দি মারিয়া। তৎক্ষণাৎ মাঠেই বসে পড়েন, মুখে যন্ত্রণা ও হতাশার ছাপ। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন চোখের জলে ভিজে। উপস্থিত দর্শকদের জন্যও ছিল সেটি এক বিভ্রান্তিকর ও আবেগঘন দৃশ্য।
চোটের বিষয়ে এখনো কোনো মেডিকেল আপডেট আসেনি, তবে মুহূর্তটি ছিল এমন যে দর্শকরা বুঝতে পেরেছিলেন—এটা কোনো সাধারণ চোট নয়।
সবশেষে নাটকীয়তা বাড়িয়ে দেয় সেই পোজ্জিই, যার ট্যাকলে চোট পান দি মারিয়া। ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোল করে গোদয় ক্রুজকে এনে দেন ১-১ সমতা। তাতে রোসারিওর জয় বঞ্চিত হওয়া তো হলোই, সঙ্গে দি মারিয়ার ফেরার গল্পটাও যেন অপূর্ণ থেকে গেল।
২০০৭ সালে রোসারিও থেকে ইউরোপ যাত্রা শুরু করেন দি মারিয়া। এরপর ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন বেনফিকা, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, জুভেন্টাস—সবশেষে আবার বেনফিকায়। এবার তিনি ফিরেছেন রোসারিওতে, চুক্তি ২০২৬ সাল পর্যন্ত।
এতদিনে হয়ে উঠেছেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি। বিশ্বকাপ (২০২২), দুই কোপা আমেরিকা (২০২১, ২০২৪), চ্যাম্পিয়নস লিগ (২০১৪), ইউরোপের চারটি দেশের লিগ শিরোপা—আরও কত শত অর্জন তার ঝুলিতে।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0