সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছে শব্দদূষণ নিয়ে মেহজাবীন-চাষী-আলভীদের বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের পর নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছে।

ছবি: বাংলাফ্লো

বাংলাফ্লো ডেস্ক

ঢাকা: দেশের জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। শব্দদূষণের ফলে বাড়ছে নানা ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকি। এমন প্রেক্ষাপটে শব্দদূষণ বন্ধে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার বার্তা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি সচেতনামূলক ওভিসি (অনলাইন ভিডিও কমার্শিয়াল)। এই ওভিসি-তে সচেতনতামূলক বার্তা নিয়ে নাগরিকদের সামনে হাজির হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী, চাষী আলম এবং যাহের আলভী।

বিজ্ঞাপনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের পর নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে এটি ২ দিনে প্রায় ৪০ লাখ বার দেখা (অর্গানিক ভিউ) হয়েছে।

অন্যদিকে, ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওতে রিঅ্যাক্ট করেছেন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিডিও’র ভিউ ৪০ লাখ ছাড়িয়ে যায়।

বিজ্ঞাপনটিতে মেহজাবীনের সাথে ছিলেন অভিনেতা চাষী আলম ও যাহের আলভী।

‘নয়েজ পলিউশন কন্ট্রোল প্রজেক্ট বাই ডিওই’ (Noise Pollution Control Project by DoE) নামক ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত ভিডিও’টি প্রথম ৪৮ ঘন্টায় সাড়ে পাঁচ হাজার বার শেয়ার হয়েছে।

পরিবেশ অধিদফতরের ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’র সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করা হয়েছে।

এটি পরিচালনা করেছেন মেহেদী রনি। মূল ভাবনা ও গল্প রচনা করেছেন মোঃ নাজিম উদ্দিন (মাসুম)।

বিজ্ঞাপনটি ব্যাপক সাড়া পাওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পরিচালক মেহেদি রনি বলেন, কাজটি করে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে মানুষ এখন অনেক সচেতন এবং অন্যকে সচেতন করতেই তারা এই ভিডিও শেয়ার করছে। শব্দদূষণ বন্ধে সবার দায়িত্বশীল আচরণ প্রয়োজন।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক জনাব মোঃ ফজলে এলাহী গণমাধ্যমকে বলেন, শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি অনেক ব্যাপক। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে। এই সচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে। আমরা মন থেকে চাইলেই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এ জন্য আমাদের মানসিকতা ও আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে। শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপনটি দেখে নেটিজেনরা শব্দদূষণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এমন উদ্যোগের ব্যাপক প্রশংসা ও ইতিবাচক মন্তব্য করছেন।

জাহিদ হাসান রানা নামে একজন ভিডিও পোস্টটিকে সুন্দর উল্লেখ করে মন্তব্য করেন।

তিনি লিখেন, অসাধারণ একটি বিজ্ঞাপন। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে শব্দদূষণের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক। সময়ের চাহিদা ছিল এমন একটি ভিডিও যা মানুষকে সচেতন করার জন্য সাহায্য করবে। আসুন সবাই সবাইকে সাহায্য করি। শব্দ দূষণ থেকে পরিবার, সমাজ ও দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখি।

আহসান হাবীব ইমন নামে আরেকজন লিখেন, শব্দদূষণ ও এর ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় নিয়ে অসাধারণ একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে দর্শকদের সামনে। সামনের দিনগুলোতে এমন আরও প্রচারণা জরুরি। এতে ভবিষ্যত প্রজন্মের অনেক উপকার হবে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায়।

উল্লেখ্য, ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’র সোস্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড। ক্যাম্পেইনের ক্রিয়েটিভ প্ল্যানার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ নাজির হোসেন।

বাংলাফ্লো/এসবি

Leave a Comment

Comments 0