বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

জামায়াত আমিরের সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সংস্কার ও নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন। আমির ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. বরিস একিঞ্চি। সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আমিরের বাসভবনে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনসহ উচ্চপর্যায়ের আরও দুইজন কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন।

তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিকেল ৩টা ২৮ মিনিটে জামায়াত আমিরের বাসভবনে প্রবেশ করেন এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে যান।

সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, “উনারা সাক্ষাৎ করতে আসায় জামায়াতে আমির সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা আমিরের স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের নেতৃত্বে প্যালিস্টাইন মুসলমানের জন্য যে উদ্যোগ এবং সহযোগিতার কথা স্মরণ করেছেন, জামায়াতের আমির তার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের দেশের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ জানতে চেয়েছেন। আমির অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের আন্দোলনের কথা স্মরণ করেছেন। আমাদের প্রায় ১২০০ ছাত্র-জনতার জীবনদান ও প্রায় ২৫/৩০ হাজার ছাত্র জনতা আহত হওয়ার কথা বলেছেন। জামায়াত ইসলামী আহত-নিহতদের পাশে সহানুভূতির আদর্শ মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন সেসব প্রসঙ্গগুলো তিনি তুলে ধরেছেন।”

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, “তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সংস্কার ও নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন। আমির ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সংস্কার ইস্যুতে মতের যে একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে যদি সব রাজনৈতিক দল এবং স্টেকহোল্ডাররা ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় তাহলে ফেব্রুয়ারির যে টাইমলাইন সেখানে একটা নির্বাচন, একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হওয়া সম্ভব।”

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ–তুরস্ক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, নির্মাণ, কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতার সুযোগ, দক্ষ জনশক্তি উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগের সম্ভাবনা, দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্ব এবং তুরস্কের উন্নয়ন ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া জামায়াতে ইসলামী সংগঠনের অতীত কঠিন সময়, সংগঠনের নিবন্ধন পুনরুদ্ধার এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েও আলোচনা হয়।

বাংলাফ্লো/সিএস


Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0