এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
ঢাকা: প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের করুণ পরিণতির স্মৃতি এখনও দগদগে। এর মধ্যেই নতুন করে এক ভয়ঙ্কর আশঙ্কার কথা শোনালেন সংগীতশিল্পী ও সুরকার অমাল মালিক। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, বলিউডের যে প্রভাবশালী গোষ্ঠী একজোট হয়ে সুশান্তকে শেষ করে দিয়েছিল, ঠিক একই রকম ষড়যন্ত্র এখন পরোক্ষভাবে করা হচ্ছে অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানের বিরুদ্ধে। অমালের এই সরাসরি তুলনা বলিউডজুড়ে নতুন করে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এবং কার্তিকের অনুরাগীদের কপালে ফেলেছে চিন্তার ভাঁজ।
‘ওকে ধ্বংস করে দিতে হবে’— সুশান্তের স্মৃতি উস্কে দিল নতুন ভয়
সম্প্রতি এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অমাল মালিক বলিউডের অন্ধকার দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রসঙ্গটি টেনে আনেন। তিনি বলেন, “এ জগৎ এতই অন্ধকার যে, একজন মানুষের জীবনটাই থাকল না। সুশান্ত সিং রাজপুত এ অন্ধকার জগৎটাকে সামাল দিয়ে উঠতে পারেননি।”
সুশান্তের সঙ্গে হওয়া ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে অমাল বলেন, “কিছু লোকজন ওর মনোবল ভেঙে দিয়েছিল নিশ্চয়ই। ‘এই ছেলেটাকে ধ্বংস করে দিতে হবে’— সুশান্তের ক্ষেত্রে এমনই ষড়যন্ত্র করেছিলেন বড় বড় প্রযোজকরা।”
২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বললেও, তাঁর মৃত্যুর আগে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনা ষড়যন্ত্রের দিকেই ইঙ্গিত করে। শোনা যায়, মৃত্যুর আগে পর পর সাতটি ছবি থেকে বাদ পড়েছিলেন সুশান্ত এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী প্রযোজনা সংস্থা তাঁকে বয়কট করেছিল। সফল হওয়া সত্ত্বেও একজন প্রতিভাবান বহিরাগত শিল্পীর এই পরিণতি পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। অমাল মালিকের মতে, ঠিক একই খেলার শিকার হতে চলেছেন কার্তিক আরিয়ান।
কেন নিশানায় কার্তিক আরিয়ান?
অমালের মতে, এই ষড়যন্ত্রের মূল কারণ হলো কার্তিকও একজন ‘বহিরাগত’, যিনি কোনো ফিল্মি পরিবার থেকে না এসেও শুধুমাত্র নিজের অভিনয়গুণ, মেধা আর পরিশ্রমে বলিউডে নিজের অবস্থান পাকা করে ফেলেছেন।
অমাল বলেন, “কার্তিকও বাইরে থেকে এসে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। বহু সফল সিনেমা রয়েছে ওর। তাই ওকেও তাড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে অনেকে।” তিনি যোগ করেন, “কার্তিকও অনেক সমস্যা পেরিয়ে, নাচ করে ও হাসিমুখে লড়াই করে এ জায়গায় এসেছেন।” একজন বহিরাগতর এই আকাশছোঁয়া সাফল্যই ইন্ডাস্ট্রির প্রভাবশালী মহলের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন অমাল।
ক্ষমতার লড়াই আর অন্ধকার জগৎ
এই পুরো বিষয়টিকে অমাল মালিক ‘ক্ষমতার লড়াই’ হিসেবেই দেখছেন। তাঁর ভাষায়, “সবই ক্ষমতার লড়াই। বড় বড় প্রযোজক-অভিনেতারাই এসব করে।” তিনি মনে করেন, সুশান্তের মৃত্যুর পর বলিউডের আসল রূপ অনেকটাই মানুষের সামনে পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং যারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা এখন তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করছে।
অমালের এই সাহসী বক্তব্যে বলিউডের নেপোটিজম, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং সিন্ডিকেট বিতর্ক আবারও সামনে চলে এসেছে। যদিও এটি অমাল মালিকের ব্যক্তিগত দাবি, তবে তাঁর এই অভিযোগ কার্তিক আরিয়ানের উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের ওপর এক কালো ছায়া ফেলেছে এবং তাঁর অনুরাগীদের মনে জন্ম দিয়েছে গভীর উদ্বেগ।
বাংলাফ্লো/এইচএম
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0