বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

বিগত সরকারের নজরদারির সরঞ্জাম ক্রয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি

কমিটির প্রধান হবেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকার দেশের নজরদারি যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান হবেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। কমিটি তদন্ত করবে যন্ত্রপাতিগুলো কীভাবে ক্রয় করা হয়েছে, কত দামে কেনা হয়েছে এবং এগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য জানান।

প্রেস সচিব জানান,সারভেইলেন্সের যন্ত্রপাতি বিগত সরকারের সময়, কেউ বলছেন—প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়েছে, কেউ বলছেন প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারে এগুলো ক্রয় করা হয়েছে। পুরো রিপোর্টে আমরা যা পড়েছি সেখানে পুরোপুরি স্পষ্ট—গত স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের নাগরিকের অধিকার হরণের জন্য নজরদারির যন্ত্রপাতি, স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে। এই অবৈধ নজরদারি করার জন্য আমার-আপনার ন্যূনতম বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সংবিধানে যে গোপনীয়তার অধিকার দেওয়া হয়েছে সেটাকে তারা খর্ব করেছে। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, এটা তদন্ত করার জন্য। তদন্ত করে কত টাকা দিয়ে এগুলো কেনা হয়েছে, কোথা থেকে এগুলো কেনা হয়েছে, যদিও রিপোর্টে বলা হয়েছে—অনেক কিছু ইসরায়েল থেকে কেনা হয়েছে; এই পুরো বিষয়গুলো কমিটি খতিয়ে দেখবে। এই কমিটির প্রধান থাকবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি আরও জানান, গত সপ্তাহে আমরা বলেছিলাম সংস্কার কমিশনগুলোর ১২১টি সুপারিশ বাস্তবায়নাধীন আছে। তার মধ্যে ১৬টি ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ১৪টি আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে এবং বাকিগুলো বাস্তবায়নাধীন আছে। আজকে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জানানো হয়—আরও ২৪৬টি আশু করণীয় সংস্কার সুপারিশ এসেছে, এগুলো বাস্তবায়নাধীন বলে জানানো হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদে। মোট ৩৬৭টি সুপারিশের কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৭টি বাস্তবায়ন হয়েছে। সুপারিশগুলোর মধ্যে ৮২টি হচ্ছে শ্রম বিষয়ে। বৈঠকে শ্রম উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ৮২টি সুপারিশের মধ্যে অনেকগুলো শেষ পর্যায়ে আছে বাস্তবায়নের। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ৭১টি সুপারিশ আশু বাস্তবায়নের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে স্থানীয় সরকার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ৩৭টি, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের ৩৩টি, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ২৩টি।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আজকে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টা বলেছেন, এগুলো নিয়ে অনেক জোর দেওয়া হয়েছে। অগ্রগতিগুলো আগামী বৈঠকে আপডেট করা হবে। যেসব সুপারিশ খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার, সেগুলোতে জোর দেওয়া হচ্ছে, যেন খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, পুলিশের জন্য কীভাবে মারণাস্ত্র কেনা হয়েছিল– এটা নিয়েও রিপোর্ট হয়েছে। সেটা নিয়েও তদন্ত হচ্ছে। কীভাবে এগুলো কেনা হয়, কীভাবে ব্যবহার করা হয়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাফ্লো/সিএস

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0