বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ সংশোধনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, কমিশন গঠনে স্বচ্ছ, উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া নিশ্চিত হলে মানবাধিকার সুরক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সিলেটে অনুষ্ঠিত অংশীজন কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করে ঢাকার সুইজারল্যান্ড দূতাবাস ও ইউএনডিপি।
আইন উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, যথাযথ সংশোধন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও আস্থাভাজন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে।
কর্মশালায় আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম শাফায়েত হোসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, যেখানে কমিশনের ম্যান্ডেট, সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক বক্তব্যে আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী মানবাধিকার কমিশনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী। বক্তৃতা দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যমকর্মী এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা অংশ নেন।
কর্মশালায় বক্তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ, প্রতিকার ও কমিশনের কাঠামোগত সংস্কার নিয়ে গঠনমূলক মতামত দেন। পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করার প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয়।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0