সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাসপাতাল না গোয়ালঘর? শেরপুরে তোলপাড়

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেলিম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তখন তিনি বলেন, “হাসপাতালে গরু পাহারা দেওয়া দায়িত্ব আমার না।” এই কথা বলেই তিনি সাংবাদিকের ফোন কেটে দেন বলে অভিযোগ।

ছবি-সংগৃহীত

জেলা প্রতিনিধি

শেরপুর : শেরপুর ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের ভেতরে অবাধে একটি গরুর ঘুরে বেড়ানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর, জেলাজুড়ে তীব্র সমালোচনা এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতের এই ঘটনাটি হাসপাতালটির চরম অব্যবস্থাপনা এবং কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতাকে আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

রবিবার রাতে হাসপাতালের ভেতরে একটি গরুকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। সেই ছবি কেউ তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করলে, তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় যখন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেলিম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তখন তিনি বলেন, “হাসপাতালে গরু পাহারা দেওয়া দায়িত্ব আমার না।” এই কথা বলেই তিনি সাংবাদিকের ফোন কেটে দেন বলে অভিযোগ।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৬ লাখ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল এই হাসপাতালটি দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যায় জর্জরিত।চিকিৎসকের ৫৮টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৩০ জন। ১০টি সিনিয়র কনসালটেন্ট পদের মধ্যে ৯টিই শূন্য।হাসপাতালে দালালদের উৎপাত চরমে।বহু মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আজকের তারুণ্য’-এর প্রতিষ্ঠাতা রবিউল ইসলাম রতন বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এ অবস্থায় যেত না।”

তবে, শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ শাহীন জানিয়েছেন, “আমি ঘটনাটি জানার পরপরই হাসপাতালে পরিদর্শন করেছি। গেটে দায়িত্বে থাকা আনসারদের অবহেলার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “ডা. সেলিম মিয়ার আচরণ দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়।”

সব মিলিয়ে, একটি জেলার প্রধান হাসপাতালের এমন করুণ দশা এবং কর্তৃপক্ষের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষুব্ধ ও হতাশ শেরপুরবাসী।

বাংলাফ্লো/এইচএম 

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0