জেলা প্রতিনিধি
রাজশাহী: রাজশাহীর পবায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক অ্যাম্বুলেন্সচালকের বাড়িতে হামলা এবং তাঁকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকালে মো. কচি (৩৫) নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে জেল পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেন বলে জানা গেছে।
তবে তিনি কোন কারাগারে চাকরি করেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রোববার (৭ জুলাই)এ ঘটনায় পবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তির বাবা।
থানায় অভিযোগকারি আব্দুল হাকিম (৭০) উপজেলার দুয়ারি মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেনে, গত শনিবার (৫ জুলাই) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন দফায় তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় তাঁর ছেলে গোলাম কিবরিয়া জনির (৩৫) মাথায় ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করলে মারাত্মকভাবে জখম হন অ্যাম্বুলেন্সচালক জনি।
অভিযোগে বলা হয়, পবার নওহাটা কলেজ মোড় নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. কচি (৩৫), তাঁর বাবা মো. আয়নাল (৬০), চাচা মো. মাহাবুল (৫০) ও দুয়ারি উত্তরপাড়া গ্রামের মো. মোতালেব (৪৫) এ হামলা করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত শনিবার বেলা ২টার দিকে আব্দুল হাকিম বাইসাইকেল নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত কচি। এ সময় হাকিম তাঁকে সাবধানে চালানোর পরামর্শ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কচি তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মারধরের জন্য তেড়ে আসেন। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে কিছুক্ষণ পর কচির নেতৃত্বে আরও কয়েকজন হাকিমের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় তাঁরা দরজা-জানালায় ইট-পাটকেল ছোড়েন এবং হত্যার হুমকি দেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাঁরা আবারও আসেন এবং বাইরের বারান্দায় রাখা হাকিমের বাইসাইকেলটি ভেঙে দেন। পরে রাতে দিকে তৃতীয় দফায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এ সময় হাকিমের ছেলে গোলাম কিবরিয়া জনিকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে কচি তাঁর মাথায় চায়নিজ কুড়ালের উল্টো দিক দিয়ে আঘাত করেন। অন্য হামলাকারীরা হাঁসুয়া, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে জনির মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে।
ভুক্তভোগী আব্দুল হাকিম বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় আমার বাড়িতে তিন দফা হামলা হয়। হামলার সময় কচি বলছিলেন যে তিনি জেল পুলিশের চাকরি করেন। তাঁর কিছুই করা যাবে না।’
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত কচির মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। তবে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ‘রং নম্বর’ বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আহত অবস্থায় জনি থানায় এসেছিল। আমি তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাই। পরে তার বাবা লিখিত অভিযোগ দেন। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0