বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,
ঢাকা: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিম্নকক্ষ পিআর কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। এই ব্যবস্থা চালু হলে সকাল-বিকাল সংসদ সদস্যদের কেনাবেচা হবে উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, আমরা সংসদের উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক যুব ঐক্য আয়োজিত ‘গুণমানসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান বলেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের পেছনে উপদেষ্টাদেরও ইন্ধন থাকতে পারে, তাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে গাদ্দার উপদেষ্টাদের নাম প্রকাশ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এনজিও উপদেষ্টারা যেদিন শপথ নিয়েছেন সেদিনই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পথ খুলেছে। এটাকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। নির্বাচন বানচালের মধ্যদিয়ে যদি অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়, তাহলে তার দায়ভার নাহিদ ইসলামকেও নিতে হবে।
আলোচনার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলোচনা এখনও শেষ হয়নি। তাই এই আলোচনার মাঝপথে আন্দোলনে ঝাপ দেওয়া সঠিক হবে না। আমি মনে করি, এতে করে ফ্যাসিবাদই সুযোগ পাবে। আমাদের উচিত আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানো।
রাশেদ খান বলেন, আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি একটি নতুন বাংলাদেশের। সেই নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য জাতীয় ঐক্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া, সমঝোতা গড়ে তোলা জরুরি। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রশ্নে, তাদের দোসরদের প্রশ্নে এবং ভারতের আধিপত্যবাদের প্রশ্নে আমাদের মধ্যে অন্ততপক্ষে ন্যূনতম ঐকমত্য থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমরা লক্ষ করছি বিভাজন। এই বিভাজন নিয়েই যদি আমরা নির্বাচনে যাই, তাহলে সেই নির্বাচন বানচাল করে দেবে আওয়ামী লীগ ও ভারত। তাই ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সবাইকে এক কাতারে থাকতে হবে।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0