বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,
ঢাকা: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
সেখানে নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. সারোয়ার আলম। তিনি উপসচিব পদমর্যাদায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এর আগে দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।
এ ছাড়া সাদাপাথরকাণ্ডে কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুন্নাহারকে ফেঞ্চুগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের বদলি করা হয়।
এ ব্যাপারে সোমবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুটের ঘটনার পরিবেশবাদী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছিল।
এর আগে রোববার (১৭ আগস্ট) সাদাপাথর ও জাফলংয়ের পাথর লুটের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। একইসঙ্গে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
এর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঘোষণার বাস্তবায়ন শুরু হলো সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে দিয়ে। যদিও ওএসডি করার কারণ প্রসঙ্গে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, সাদাপাথর লুটের ঘটনা জানাজানি হলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। তখন শের মাহবুব মুরাদ প্রশাসনের কোনো দোষ বা দায় ছিল না বলে বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন।
বাংলাফ্লা/এনআর
Comments 0