স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা: নেপালের কাঠমান্ডুতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলছে। তা নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করেছে দেশটির সরকার। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামীকাল (মঙ্গলবার) দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যকার ফিফা প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না। কাঠমান্ডু থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান।
অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা) বাংলাদেশকে আগামীকাল দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল। বাংলাদেশ তাতে রাজি হয়নি। জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান নেপাল ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘গ্যালারিশূন্য স্টেডিয়ামেও ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ যেখানে জনগণ পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছে, সেখানে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবে না এমন নিশ্চয়তা নেই।’
বাফুফে থেকেও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি। তারা নেপালের নানা প্রস্তাব সত্ত্বেও খেলতে আগ্রহী হয়নি। বাংলাদেশ দলের ফ্লাইট আগামী পরশু (বুধবার) থাকলেও সেটা এগিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান ম্যানেজার, ‘ফেডারেশন টিকিটের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এই স্থান ত্যাগ করা প্রয়োজন।’
সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশ নেপালে দু’টি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল। গত পরশু প্রথম ম্যাচে ড্র করেছিল স্বাগতিকদের বিপক্ষে। আগামীকাল ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ। আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনও হয়েছিল। এরপর কাঠমান্ডুর পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় বাংলাদেশ ও নেপাল কোনো দলই অনুশীলন করতে পারেনি। ঘণ্টা পাঁচেক পর ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নেপাল ফুটবল ফেডারেশন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচ বাতিল নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি। বাফুফে অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণমাধ্যমে আগে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত না করে ফেসবুকে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে ম্যাচ বাতিলের পোস্ট করেছে।
বাংলাফ্লো/এসও
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0