মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিউলে বাংলাদেশ–দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝে কৌশলগত অংশীদারত্ব নিয়ে বৈঠক

বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের পূর্ণাঙ্গ পরিসর নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়, যেখানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুও গুরুত্ব পায়।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো প্রতিনিধি

ঢাকা: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সিউলে চতুর্থ দফা ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের পূর্ণাঙ্গ পরিসর নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়, যেখানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুও গুরুত্ব পায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপাক্ষিক-পূর্ব ও পশ্চিম) রাষ্ট্রদূত ড. মো. নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ভাইস মিনিস্টার পার্ক ইউনজু কোরিয়ান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান অনুমতি ব্যবস্থার (ইপিএস) অধীনে মানবসম্পদ উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন, কোরিয়ান ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনকেন্দ্রের স্থানান্তর, জ্বালানি সহযোগিতা, নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ নানা ইস্যুতে মতবিনিময় হয়।

২০২২ সালের মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় এফওসি বৈঠকের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে উভয়পক্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জ্বালানি রূপান্তর, মৎস্য, জৈবপ্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এবং বন্দর ও শিপইয়ার্ড আধুনিকীকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর নতুন দিক চিহ্নিত করে।

কোরিয়ান পক্ষ ইডিসিএফ, কইকা এবং ইডিপিএফ অনুদান ও ঋণের আওতায় বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্পে সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। পাশাপাশি তারা বাংলাদেশে কোরিয়ান শিল্প ও উৎপাদন শৃঙ্খল সম্প্রসারণে উৎসাহ প্রদানের আশ্বাস দেয়। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ পক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইপিএস প্রোগ্রামের অধীনে অভিবাসন এবং বৈজ্ঞানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানায়। কোরিয়ান পক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করে এবং তাদের প্রত্যাবাসনে অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়।

এফওসিতে উভয়পক্ষ বাংলাদেশ–দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত করার বিষয়ে একমত হয় এবং পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে উচ্চ পর্যায়ের সফরের গুরুত্বও তুলে ধরে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান জোরদারের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।

বাংলাফ্লো/সিএস

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0