বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
নীলফামারী: নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ২৩ দফা দাবি মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ছাঁটাই শ্রমিকদের বহালের বিষয়টিও রয়েছে। ফলে টানা কয়েক দিনের অচলাবস্থার পর আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে ইপিজেডের সব কারখানা। তবে এভারগ্রীন কোম্পানি খুলবে শনিবার।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল জব্বার।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ইপিজেডের সব কারখানা খোলা হবে। তবে এভারগ্রীন কার্যক্রম শুরু করবে শনিবার থেকে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, শ্রমিকদের যে দাবিগুলো ছিল, বিস্তারিত আলোচনা করে কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা দিয়েছে সে দাবিগুলো প্রতিপালন করা হবে। আজকের বৈঠকে সব দাবি লিখিতভাবে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, দাবিগুলো যাতে পূরণ হয় তা নিশ্চিত করা হবে।
শ্রমিক নিহতের ঘটনায় তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। একটি প্রাণ চলে গেছে, আমরা সবাই দুঃখিত। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে। যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি নিশ্চিত করেছে, আইনিভাবে যার যত পাওনা রয়েছে তা পরিশোধ করা হবে। বেপজা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি দেখভাল করবে।
সভায় অংশ নেওয়া জেলা বিএনপির সদস্য আইনজীবী আবু মোহাম্মদ সোয়েম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইপিজেডের সব কারখানা খুলে যাবে। শুধু এভারগ্রিন কারখানার কিছু প্রস্তুতিজনিত কারণে শনিবার খুলবে।
এর আগে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার জন্য বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ওই সভা শুরু হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, বুধবার দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন, কারখানা মালিক, বেপজা কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা হয়। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলোর বেশির ভাগ কারখানা মালিকরা মেনে নিয়েছেন। এ কারণে বৃহস্পতিবার থেকে সব কারখানা খুলবে। এভারগ্রিনের সঙ্গে বেপজার কিছু চুক্তি হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট (শনিবার) থেকে এভারগ্রীনের শ্রমিকরা ২৩ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামেন। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য কারখানার শ্রমিকদের মধ্যেও। মঙ্গলবার আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনী পদক্ষেপ নিলে সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হন। এরপর থেকে ইপিজেডের সব কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
বাংলাফ্লো/এফএ
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0