বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
ঢাকা: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও নির্দেশনা পায়নি সেনাবাহিনী। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে যে দায়িত্বই দেওয়া হবে, তা যথাযথভাবে পালনে সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অবসরপ্রাপ্ত কিছু সেনা কর্মকর্তার প্রচারণা নিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়টি অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। কে কি উদ্দেশ্যে এসব প্রপাগান্ডা ও মিস-ইনফরমেশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিচ্ছে সেটা আপনারা ভালো বোঝেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষ অভিযান পরিচালনা চলছে। তিনি বলেন, প্রায় ৮০ শতাংশ হারানো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, বাকি অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সহায়তা করা সম্ভব হবে।
মব সন্ত্রাসের ব্যাপারে তিনি বলেন, মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স রয়েছে। যেখানে যখন মব সন্ত্রাস হয়েছে, সেখানে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের বাড়ির সামনে মব সৃষ্টির ঘটনায় সেনাবাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
রাজবাড়ীতে নুরুল হক ওরফে নুরা পাগলার মরদেহ নিয়ে সহিংসতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দেরিতে খবর পেলেও পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তৎপর রয়েছে।
গুম কমিশন প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, গুম কমিশন নিয়ে যে গুজব সেটা আসলেই গুজব। সেনাবাহিনীর যাদের ডাকা হয়েছে সবাই কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছে এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করবে।
সীমান্ত পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জানান, গত এক মাসে নতুন করে ৭৫০ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক, অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
সাম্প্রতিক সহিংসতা ও সংঘর্ষ নিয়ে তিনি বলেন, কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় পুলিশ ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে। সেখানে সেনা-পুলিশ সদস্যদের আহত হওয়ার ঘটনাও তিনি উল্লেখ করেন।
মাদকবিরোধী ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে গত এক মাসে শত শত অপরাধী গ্রেপ্তার ও কোটি টাকার পণ্য জব্দের তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ অভিযান, অস্ত্র উদ্ধার, জেএসএস, ইউপিডিএফ ও এমএলপি সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং বান্দরবানে কেএনএ ঘাঁটি ধ্বংসের মতো সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন কর্নেল শফিকুল ইসলাম।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0