বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,
ঢাকা: রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা মানবপাচার মামলার প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২।
এ সময় তাদের হেফাজত থেকে নয়টি পাসপোর্ট, ১১টি মোবাইল ফোন, মানবপাচারের মাধ্যমে অর্জিত এক কোটি ছাপ্পান্ন লাখ ছাব্বিশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্য্যা র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (এএসপি) খান আসিফ তপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের মূলহোতা আমিনুল ইসলাম ও সহযোগী আব্দুল হাকিম (৫৬), নূর ইসলাম (৩১), আসাদুজ্জামান (৩৫) ও শাহরিয়ার শেখ মুরাদ।
গতকাল রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এএসপি তপু জানান, দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল্লাহ-আমিনুল মানবপাচার চক্রটি ভিসা ও পাসপোর্ট জালিয়াতির মাধ্যমে মানুষকে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপে পাঠানোর নামে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। বিশেষ করে বেকার যুবকদের লক্ষ্য করে প্রতিজনের কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয় তারা। ইউরোপে পাঠানোর জন্য চক্রটি প্রথমে মিসর, পরে লিবিয়া হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ নৌরুট ব্যবহার করত।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ভুক্তভোগী জাহিদ হোসেনকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম ২০ লাখ টাকা নেয়। পরবর্তীতে তাকে সৌদি আরবের মদিনা হয়ে মিশরে পাঠানো হয়। সেখানে অজ্ঞাত আসামিরা জাহিদকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় জড়িত চক্রটির সদস্যদের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) নজরদারিতে রাখে। পরবর্তীতে এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানার যৌথ অভিযানে মানবপাচার চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের কর্মকর্তারা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মানবপাচার চক্রের আরও সদস্যদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0