বাংলাফ্লো প্রতিনিধি,
ঢাকা: জাতীয় পার্টি একাংশের কাউন্সিলে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান, নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে মুজিবুল হক চুন্নু এবং এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় কাউন্সিলরগণ কন্ঠভোটে তাদের নির্বাচিত করেন।
সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ। নব নিবাচিত নেতৃবৃন্দ পনের দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষমতা দেওয়া হয়। গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে নির্বাহী চেয়ারম্যান পদ সৃস্টি এবং কো-চেয়ারম্যান পদ সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ জন করা হয় কাউন্সিলে।
শনিবার (৯ আগস্ট) সোয়া ১১টায় গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির দীর্ঘ সময়ের মহাসচিবের দায়িত্ব পালনকারি এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এভাবে ২০২৪ সালের ৯ মার্চ এক তরফা কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি (রওশন) গ্রুপ যাত্রা করেছিল।
কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন জাতীয় থেকে বের হয়ে প্রথম পৃথক জাতীয় পার্টি (জেপি) গঠন করা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। পাশাপাশি রওশনের জাতীয় পার্টি ও কাজী জাফর আহমদের জাতীয় পার্টির অনেক নেতা যোগদান করেন।
২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে না পারায় ইসির কাছে দু’মাস সময় চেয়ে নিয়েছিল জাপা। এরপর আবার চিঠি দিয়ে সময় বাড়িয়ে নেয়।
তবে ওই কাউন্সিলকে অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টির বহিস্কৃত কোন নেতা কাউন্সিল ডাকার এখতিয়ার রাখেন না। অনেকে পার্টির পদ ও পদবী ব্যবহার করছেন, বিকল্প মিটিং এবং সভা করা হচ্ছে যা, পুরোপুরি বেআইনি।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টি সম্ভবত রাজনৈতিক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গন কবলিত। এরশাদের জীবদ্দশায় জাপা, জেপি, বিজেপি ও জাপা (জাফর) নামে চার টুকরো হয়ে যায়। এরশাদের মৃত্যুর পর সহধর্মিণী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে আরেকটি জাপার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও রওশন গ্রুপের তেমন কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। মাঝে মধ্যে বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ওই গ্রুপটির কার্যক্রম।জাপার গ্রুপগুলোর মধ্যে জেপি (মঞ্জু) আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক ছিল। বিজেপি এবং জাপা (জাফর) রয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে রয়েছে। নতুন অংশটির শুরু থেকে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
বাংলাফ্লো/এনআর
Comments 0