মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সপ্তাহ নয়, ১০ মাস আগেই মৃত্যু! অভিনেত্রী হুমাইরার লাশের রিপোর্টে চাঞ্চল্য

মস্তিষ্ক পচে গেছে এবং দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কালো হয়ে গেছে। মাংস গলে হাড় বেরিয়ে এসেছে এবং শরীরে পোকা জন্মেছে। এই ভয়াবহ চিত্রই প্রমাণ করে, তাঁর মৃতদেহটি দীর্ঘ সময় ধরে ওই বন্ধ ফ্ল্যাটেই পড়েছিল।

ছবি-সংগৃহীত

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

ঢাকা: পাকিস্তানের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর আলীর মৃত্যুকে ঘিরে উন্মোচিত হচ্ছে একের পর এক মর্মান্তিক এবং চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ তাঁর মৃত্যুকে সপ্তাহ খানেকের পুরনো বলে ধারণা করলেও, ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে জানা গেছে এক ভয়াবহ সত্য— হুমাইরার মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮ থেকে ১০ মাস আগে! খ্যাতির আড়ালে তাঁর এই নিঃসঙ্গ ও করুণ পরিণতি এবং মৃত্যুর পর পরিবারের অবহেলা— সব মিলিয়ে এই ঘটনাটি শোবিজ জগতে এক গভীর শোক এবং আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ময়নাতদন্তের ভয়াবহ চিত্র: করাচির ডিফেন্স ফেজ-৬ এর একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া হুমাইরার মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাঁর অস্থিমজ্জা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে, মস্তিষ্ক পচে গেছে এবং দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কালো হয়ে গেছে। মাংস গলে হাড় বেরিয়ে এসেছে এবং শরীরে পোকা জন্মেছে। এই ভয়াবহ চিত্রই প্রমাণ করে, তাঁর মৃতদেহটি দীর্ঘ সময় ধরে ওই বন্ধ ফ্ল্যাটেই পড়েছিল।

যেভাবে উদ্ধার হয় মরদেহ: হুমাইরা দীর্ঘ দিন ধরে ফ্ল্যাটের ভাড়া না মেটানোয়, মালিক আদালতে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের নির্দেশে পুলিশ উচ্ছেদের নোটিশ নিয়ে ফ্ল্যাটে হানা দেয়। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকেই তারা মেঝেতে হুমাইরার পচা-গলা মরদেহ উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে।

পরিবারের প্রত্যাখ্যান ও অবশেষে দাফন: এই ঘটনার সবচেয়ে হৃদয়বিদারক অধ্যায় হলো তাঁর পরিবারের প্রতিক্রিয়া। প্রথমে হুমাইরার পরিবার তাঁর মরদেহ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। তাঁদের দাবি ছিল, অভিনয় করে হুমাইরা নাকি ‘বংশের মানসম্মান নষ্ট’ করেছিলেন এবং একারণেই দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ ছিল না। মৃত্যুর পরেও পরিবারের এই প্রত্যাখ্যান তাঁর জীবনের একাকীত্বের গভীরতাকে স্পষ্ট করে তোলে। যদিও পরে, শুক্রবার (১১ জুলাই) তাঁর পরিবার মরদেহ গ্রহণ করে এবং দাফন সম্পন্ন করে।

অমীমাংসিত রহস্য: হুমাইরার মৃত্যু রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে কারণ ফ্ল্যাটের মূল দরজা এবং বারান্দার দরজা দুটোই ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। ময়নাতদন্তে তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন বা ভাঙা হাড়ও পাওয়া যায়নি, যা বাইরে থেকে কারো প্রবেশের মাধ্যমে হওয়া হত্যাকাণ্ডকে প্রায় নাকচ করে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও অজানা। ডিএনএ পরীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্টের পরই এই রহস্যময় মৃত্যুর বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বাংলাফ্লো/এইচএম 

Post Reaction

👍

Like

👎

Dislike

😍

Love

😡

Angry

😭

Sad

😂

Funny

😱

Wow

Leave a Comment

Comments 0