জেলা প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ৯ শিক্ষার্থীকে জুস খাইয়ে অনশন ভাঙালেন। তারা গত বুধবার দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে আমরণ অনশন চালাচ্ছিলেন নিরাপদ ক্যাম্পাস, প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাতটি দাবিতে।
শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকির অনশন প্রত্যাহারের প্রসঙ্গে বলেন, “উপাচার্য আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আমাদের কোনো দাবিই অযৌক্তিক নয়। তিনি আগামী রবিবার বিকেল ৩টায় আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনায় বসবেন। সে কারণে আমরা অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, “আমরা আগামী রবিবার অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। তারা আমাদের সঙ্গে বসতে রাজি হয়েছে। আমরা তাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।”
অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন—চবি শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকির, দপ্তর সম্পাদক নাঈম শাহ জান, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ, নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার, শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহ্বায়ক ধ্রুব বড়ুয়া, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুদর্শন চাকমা, বাংলা বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র এবং স্পোর্টস সাইন্স বিভাগের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী রাম্রা সাইন মারমা।
তাদের সাত দাবি ছিল—
১. আহত শিক্ষার্থীদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা প্রদান।
২. নিরাপত্তাহীন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ভ্রাম্যমাণ আবাসনের ব্যবস্থা।
৩. আবাসনচ্যুত শিক্ষার্থীদের মালামাল উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ।
৪. বিশেষভাবে চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৫. সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা, নিরপরাধ এলাকাবাসীর হয়রানি বন্ধ করা।
৬. বৈপরীত্যমূলক দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন এবং নিয়মিত মিটিং।
৭. সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়ন, প্রশাসনের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ।
বাংলাফ্লো/সিএস
Like
Dislike
Love
Angry
Sad
Funny
Wow
Comments 0