বাংলাফ্লো প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (সরকারি হাসপাতাল) ঢুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ কমপক্ষে ১২ জনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৮ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকের এ ঘটনায় জড়িত তিন জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
আহতদের মধ্যে আট জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার হলেন- রামগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রেদোয়ান সালেহীন নাঈম, আজিজ শাকিল, সাঈদ আলম শাহীন, জাহীদ হাসান পাবেল, তারেক আজিজ, সায়মন স্যাম, তারেক ও সংবাদকর্মী রায়হানুর রহমান।
আটকরা হলেন- মাসুদ, কামাল হোসেন ও তুষার।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার বিকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের শৈরশই গ্রামের গনক বাড়িতে রাহুল ও সাফোয়ান নামে দুই কিশোর ফুটবল খেলছিলেন। তখন ফুটবল পড়ে একই বাড়ির এনজিওর কর্মী সোহাগ আলমের এক বছরের ছেলে আনাছুর রহমান মাথায় আঘাত পায়। পরে রাহুল ও সাফোয়ানের কাছে শিশুটির মা আমেনা আক্তার বিথী ফুটবল মারার কারণ জিজ্ঞেস করেন। এ নিয়ে আমেনার সঙ্গে রাহুল ও সাফোয়ানের স্বজনদের বাগবিতণ্ডা হয়।
সন্ধ্যায় শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতাল নেওয়া হয়। হাসপাতাল নেওয়ার সময় রাহুলের বাবা রাজন হোসেন ও সাফোয়ানের বাবা লিপনসহ তাদের স্বজনরা শিশুটির বাবা সোহাগকে আইনের আশ্রয় না নেওয়ার হুমকি দেন।
শিশু আনাছুরকে হাসপাতাল ভর্তি করার পর রাহুল-সাফোয়ানদের স্বজন মাসুদ, তুষার, কামালসহ কয়েকজন সেখানে যান। একপর্যায়ে শিশুটির ফুফু জান্নাতুল ফেরদাউসের চুল টেনে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। ঘটনাটি শিশুটির বাবা সোহাগ তার আত্মীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রেদোয়ানকে জানান।
পরে রেদোয়ানসহ কয়েকজন হাসপাতালে গেলে তুষার, মাসুদ ও কামালসহ ২০ থেকে ২৫ জন লাঠিসোঁটা দিয়ে রেদোয়ানসহ ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের ভেতর মারধর করার ঘটনায় আমরা নিজেরা উদ্বিগ্ন। আমাদের চিকিৎসক ও নার্সরাও অনিরাপদ।’
এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, ‘এ ঘটনায় আটক তিন জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম বলেন, ‘হামলার ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের জন্য আমরা পুলিশকে বলেছি।’
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0