বাংলাফ্লো ডেস্ক
ঢাকা: প্রযুক্তি জগতে আবারও চমক দেখালো মাইক্রোসফট। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত শেষ হওয়া তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের আয় ও মুনাফা—উভয়ই বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। আর এই সাফল্যের মূল শক্তি ছিল তাদের Azure ক্লাউড পরিষেবা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-ভিত্তিক প্রযুক্তি।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তাদের Azure ক্লাউড পরিষেবা থেকে আয় বেড়েছে ৩৩%, যা বিশ্লেষকরা যা আশা করেছিলেন (২৯.৭%) তার চেয়েও বেশি। এর মধ্যে AI-এর অবদান ১৬ শতাংশ পয়েন্ট, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ১৩ পয়েন্ট। মাইক্রোসফট বলছে, তারা এখন AI চালাতে প্রয়োজনীয় চিপস (GPU, CPU) কেনার দিকে বেশি খরচ করছে। আগে তারা ডেটা সেন্টার ভবন নির্মাণে বেশি খরচ করতো। এখন ফোকাস করছে এমন প্রযুক্তিতে, যেগুলো দ্রুত ব্যবহার করে আয় আনা সম্ভব। এই কারণে তাদের মূলধন ব্যয় (capital expenditure) এক বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৪ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের চেয়ে ৫৩% বেশি।
মাইক্রোসফট সম্প্রতি চ্যাট জিপিটি নির্মাতা OpenAI-এর সঙ্গে একটি নতুন Azure চুক্তি করেছে। এই চুক্তির ফলে Azure ব্যবসায় নতুন গতি এসেছে। যদিও মাইক্রোসফট এই চুক্তির পরিমাণ প্রকাশ করেনি, তবে এটি তাদের ব্যবসায় বড় অবদান রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি প্রান্তিকে মাইক্রোসফট-এর মোট আয় হয়েছে ৭০.১ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে Azure ও অন্যান্য ক্লাউড সেবা থেকে এসেছে ২৬.৮ বিলিয়ন ডলার। একটি শেয়ারে মুনাফা হয়েছে ৩.৪৬ ডলার, যেখানে বিশ্লেষকেরা আশা করেছিলেন ৩.২২ ডলার।
এই সাফল্যের পর মাইক্রোসফট-এর শেয়ারদর এক ধাক্কায় ৭% বেড়েছে। এর ফলে কোম্পানির বাজারমূল্যে যোগ হয়েছে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই মাইক্রোসফট -এর ডেটা সেন্টার ব্যয় কমানো এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু এই ফলাফল প্রমাণ করেছে— মাইক্রোসফট এখনো AI ও ক্লাউড ব্যবসায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাফ্লো/আফি
Comments 0