ডেস্ক নিউজ: কিছুটা গেনশিন ইমপ্যাক্ট, আর কিছুটা মনস্টার হান্টারের মিশ্রণে তৈরি গেম, ইটারনাল স্ট্র্যান্ডস। গেমের কাহিনি শুরুর কিছু বছর আগে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় দি অনক্লেভ নামের এক শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের যাতায়াত। বিশ্বের সব জাদুশক্তির আধার এই নিষিদ্ধ নগরীতে প্রবেশ করতে যায় প্রতিটি জাদুকর।
তেমনই একজন ব্রিন, যাকে নিয়ে গেমারের খেলতে হবে। ভাড়াটে জাদুকরদের দল উইভার ব্যান্ডের দলপতি ব্রিন বহু চেষ্টার পর অনক্লেভে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়। এখান থেকেই গেমের ঘটনাবলির শুরু। গেমারের মূল কাজ হবে ধীরে ধীরে অনক্লেভের ধ্বংস হয়ে যাওয়া যন্ত্রপাতি ঠিক করা।
উইভার ব্যান্ডের বিভিন্ন সদস্য এই কাজে সাহায্য করবে। অনক্লেভের পতনের পর চারপাশের সব লোকালয়েই পড়েছে তার প্রভাব। শহরটির জাদুশক্তির ওপর নির্ভরশীল সব যন্ত্রপাতি বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে দেখা দিয়েছে চাষাবাদে সমস্যা থেকে শুরু করে আবহাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানো। বেশির ভাগ মানুষ জাদুকরদেরই সমস্যাগুলোর জন্য দায়ী করেছে, তাদের একঘরে করেছে প্রায় প্রতিটি লোকালয় ও গ্রাম।
ব্রিনের লক্ষ্য অনক্লেভের ভাগ্যে কী ঘটেছিল তা উদঘাটন করে বিশ্বে আবারও শান্তি ফিরিয়ে আনা।
আত্মরক্ষা আর শত্রুদের পরাস্ত করতে টেলিকিনেসিসের পাশাপাশি গেমার পাবে আরও চার ধরনের এলিমেন্টাল ক্ষমতা। টেলিকিনেসিস ব্যবহার করে দূর থেকেই জিনিসপত্র নাড়াচাড়া করা যাবে, এলিমেন্টাল ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে নেওয়া যাবে শত্রুদের দুর্বলতার সুযোগ। গেমের মধ্যে থাকা দানবাকৃতির শত্রুদের পরাস্ত করতে গেমারের বেশ বেগ পেতে হবে, প্রতিটি বসের সঙ্গে একাধিক পর্যায়ে করতে হবে লড়াই। বস ফাইটগুলোর সঙ্গে মনস্টার হান্টার বা শ্যাডো অফ দ্য কলোসাস গেমগুলোর মিল আছে।
ইমারতের সমান উঁচু একেকটি বসকে পরাস্ত করা প্রায় পাহাড় বেয়ে ওঠার সমকক্ষ। গেমটির গ্রাফিকস অনেকটা এনিমেটেড সিনেমার মতো। ফ্যান্টাসি পটভূমির সঙ্গে চমৎকার মানিয়ে গেছে। অনক্লেভের পাশাপাশি চারপাশের বিভিন্ন এলাকা ও লোকালয় ঘুরে দেখতে পারবে গেমার। প্রতিটি এলাকার নিজস্ব ডিজাইন সহজেই নজর কাড়বে। গেমের নিয়ন্ত্রণ ও এনিমেশন সিস্টেম ডিজাইনে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে, অস্ত্রপাতি ব্যবহার বা লাফিয়ে-ঝাঁপিয়ে গেমের দুনিয়া বিচরণের সময় মনে হবে, কোথাও রয়ে গেছে ঘাটতি। তবে অল্প বাজেটের মধ্যে ছোট দল নিয়ে তৈরি গেমে এমনটা হতেই পারে। চরিত্রগুলোর ভয়েস অ্যাক্টিং বা স্ক্রিপ্টেও দুর্বলতা আছে। তবে সেসব সমস্যা তেমন প্রকট নয়, গেমটি খেলার আনন্দ সেজন্য নষ্ট হবে না। রসদ জোগাড় করে আউটফিট আর অস্ত্রপাতি তৈরি গেমপ্লের বড় অংশ। উচ্চমানের পোশাক বা অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় রসদ জোগাড় করতেও বেশ অনেকটা সময় কেটে যাবে। মূল মিশনের চেয়ে বলা যায় এক্সপ্লোরেশনই গেমটির বড় অংশ। নতুন স্টুডিওর তৈরি প্রথম গেম হিসেবে তো বটেই, সব মিলিয়েই ইটারনাল স্ট্র্যান্ডস চমৎকার একটি গেম।
গেমের নাম: ইটারনাল স্ট্র্যান্ডস
নির্মাতা: ইয়েলো ব্রিক গেমস
ঘরানা: থার্ড পারসন অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার গেম
গেমপ্লের ধরন: সিঙ্গল প্লেয়ার
বয়স: কিশোর বয়সীদের জন্য
খেলতে প্রয়োজন: ইন্টেল কোর আই৫ ৯৪০০/এএমডি রাইজেন ৫ ৩৩৫০ প্রসেসর, ৮ জিবি র্যাম, এনভিডিয়া জিটিএক্স ১৬৬০ সুপার/এএমডি রেডিওন আরএক্স ৫৬০০ এক্সটি/ইন্টেল আর্ক এ৫৮০ জিপিইউ, ২৪ জিবি জায়গা।
জেবি