বাংলাফ্লো আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকা: পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণের পর গতকাল আইরিশ-আমেরিকান কার্ডিনাল কেভিন ফারেলকে ভ্যাটিকান পরিচালনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয়। সেটা হলো ‘ক্যামেরলেঙ্গো’, অর্থাৎ দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় পোপের মৃত্যু কিংবা পদত্যাগের পর যে ব্যক্তি ভ্যাটিকান পরিচালনা করবেন। এখন সেই দায়িত্বভার ফারেলের কাঁধে।
২০১৯ সালে পোপ ফ্রান্সিস নিজেই ফারেলকে এই দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। নতুন পোপ নির্বাচন ও তাঁর দায়িত্ব না নেয়া অবধি ভ্যাটিকান পরিচালনার গুরুভার সামলাবেন কেভিন ফারেল।
কে এই কেভিন ফারেল
আইরিশ-আমেরিকান কেভিন ফারেল। জন্ম ১৯৪৭ সালে, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে। স্পেনের সালামানকা ইউনিভার্সিটি ও ইতালির রোমে পন্তিফিকাল গ্রেগোরিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন তিনি।
কেভিন ফারেল জীবনের অধিকাংশ সময় যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন গির্জায় দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে তাঁকে বিশপ পদে নিয়োগ করা হয়। ২০১৬ সালে তাঁকে ভ্যাটিকানে নিয়ে যান পোপ ফ্রান্সিস নিজেই। তাঁর পদমর্যাদা কার্ডিনালে উন্নীত করা হয়।
এদিকে গতকাল সোমবার মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে খবর ছড়িয়ে পড়ে পোপ মারা গেছেন। ভ্যাটিকান পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেলে পোপের মৃত্যুর খবর প্রচার করা হয়। কার্ডিনাল কেভিন ফারেল বিশ্ববাসীকে এ খবর জানান।
ফারেল টেলিভিশনে বলেন, ‘প্রিয় ভাই ও বোনেরা, গভীর বেদনার সঙ্গে আমাদের হোলি ফাদার ফ্রান্সিসের মৃত্যুর সংবাদ ঘোষণা করতে হচ্ছে। আজ (সোমবার) সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে রোমের বিশপ ফ্রান্সিস ফাদারের কাছে ফিরে গেছেন।
পোপ ফ্রান্সিস দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় পোপ ফ্রান্সিসকে এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বেশ কয়েকবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
ভ্যাটিকান জানায়, শ্বাসপ্রশ্বাস-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে পোপ ফ্রান্সিসকে দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল । কদিন আগেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন পোপ।
পোপ ফ্রান্সিস
পোপ ফ্রান্সিসের আগের নাম জর্জ মারিও বারগোগ্লিও। জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে।
বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০১৩ সালে তৎকালীন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট পদ ছেড়ে দিলে পোপ নির্বাচিত হন জর্জ মারিও। নতুন নাম নেন ফ্রান্সিস। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ থেকে নির্বাচিত প্রথম কোন ব্যক্তি ছিলেন পোপ।
ক্যাথলিক গির্জার বেশ কিছু উদারনীতি ও সংস্কারের জন্য পোপ ফ্রান্সিস স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ক্যাথলিক খ্রিষ্টান, নন-ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ও অন্য ধর্মের মানুষের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস।
বাংলাফ্লো/এসএস
Comments 0