Logo

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পর্যবেক্ষণ করছে তুরস্ক

তুরস্ক-বাংলাদেশ গভীর সহযোগিতা ও যৌথ সমৃদ্ধির জন্য কাজের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ।

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাফ্লো আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ঢাকা: বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুরস্ক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে

বলে এবং চলমান গৃহীত সংস্কার কার্যক্রমকে স্বাগত জানাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেমাল মেমিশওলো।

বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষ্যে

তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. কেমাল মেমিশওলো বাংলাদেশ ও তুরস্কের গভীর ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কঠিন সময়ে পারস্পরিক সহমর্মিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ২০২৩ সালে তুরস্কে সংঘটিত বিধ্বংসী ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশের সহযোগিতা ও সংহতির জন্য তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।

এছাড়া তিনি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে তুরস্কের অব্যাহত সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

কেমাল মেমিশওলো বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন নতুন গতি পেয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা দৃঢ়ভাবে প্রসারিত হচ্ছে।তুরস্ক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে এবং জুলাই আন্দোলনে আহত বাংলাদেশি নাগরিকদের চিকিৎসায়ও সহায়তা শুরু করেছে।

বক্তব্যের শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবস ও নববর্ষ উপলক্ষ্যে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে উভয় দেশের মধ্যে আরও গভীর সহযোগিতা ও যৌথ সমৃদ্ধির জন্য কাজের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হক ১৯৭১-এর ২৬ মার্চের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,এই দিনে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার পথে তাদের প্রথম পদক্ষেপ নেয়। এ দিনটি বাঙালির আত্মত্যাগ,সংগ্রাম ও অদম্য মনোবলের প্রতীক।

পয়লা বৈশাখের গুরুত্বও তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বর্ণিল ও ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক উৎসব, যা আনন্দ, ঐতিহ্য ও নতুন আশাবাদে উজ্জীবিত। এ উপলক্ষ্যে তিনি সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও আনন্দ কামনা করেন।

তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথাও উল্লেখ করেন, বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রতি তুরস্ক সরকার ও জনগণের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত সংস্কার কার্যক্রমসহ অব্যাহত সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাংলাফ্লো/ এসএস

Leave a Comment

Comments 0